রাজধানীর মাছ বাজারে চলছে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি। ইলিশ ও চিংড়ির দাম চড়া হওয়ায় ক্রেতাদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন জাতের মাছের দাম কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বিক্রেতারা এই দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে মাছের যোগান সংকট এবং পরিবহন খরচ বৃদ্ধিকে দায়ী করছেন।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক কেজি আকারের ইলিশের দাম আড়াই হাজার টাকা। গলদা ও বাগদা চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা কেজিতে। এমনকি চাষের রুই-কাতলার দামও বেড়ে কেজিতে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা হয়েছে।
পোল্ট্রি বাজারে চড়াভাব কাটেনি। এক কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকায়, আর সোনালি মুরগির দাম ৩৪০ টাকা কেজি।
সবজির বাজারে কিছুটা স্বস্তি দেখা গেছে। সরবরাহ ভালো থাকায় শীতকালীন সবজির দাম কমেছে। প্রতি কেজি নতুন দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকায়। ছোট আকারের পেঁয়াজ ৫০ টাকা এবং বড় আকারের পেঁয়াজ ৫৫ টাকা কেজিতে পাওয়া যাচ্ছে। নতুন সাদা আলু ও লাল আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা কেজিতে। বগুড়ার আলু ৩০-৩৫ টাকা কেজিতে পাওয়া যাচ্ছে।
চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ২২০-২৩০ টাকা কেজিতে, দেশি রসুন ২৪০ টাকা কেজিতে। চায়না আদা ২০০-২২০ টাকা এবং নতুন ভারতীয় আদা ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বেশিরভাগ সবজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজিতে পাওয়া যাচ্ছে। করলা, বরবটি, চিচিঙ্গা, ঢেড়স ও পটলের দাম ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজি।
মুদি দোকানে ভোজ্যতেলের সংকট দেখা দিয়েছে। সয়াবিন তেলের সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। খুচরা বিক্রেতারা অভিযোগ করেছেন, সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ইচ্ছাকৃতভাবে সংকট তৈরি করা হচ্ছে।
গরুর মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। কেজিতে ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। অন্যদিকে, খাসির মাংসের দাম কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে ১১৫০ টাকা হয়েছে।
রাজধানীর বাজারে মাছ ও ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধি ক্রেতাদের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। তবে সবজির বাজারে সরবরাহ ভালো থাকায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। পোল্ট্রি ও মাংসের বাজার তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল রয়েছে।