মো. মাহবুব আলী খানের ইন্তেকাল: শিল্পীজগতে শোক
জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মনির খানের বাবা মো. মাহবুব আলী খান মঙ্গলবার বিকেল চারটার পর ঝিনাইদহের নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৯ বছর। এই শোকসংবাদটি সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন দেশের খ্যাতিমান গীতিকার ও সুরকার মিল্টন খন্দকার।
মিল্টন খন্দকার জানান, মো. মাহবুব আলী খান বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ ছিলেন। গত কয়েকদিন ধরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। এ অবস্থায় মঙ্গলবার বিকেলে তার মৃত্যু হয়। গীতিকার আরও বলেন, “৯৯ বছর বয়স হয়েছিল তার। আর কিছুদিন বাঁচলে শতবর্ষ পূর্ণ হতো।”
মনির খানের ছেলে মোসাব্বির খান ফেসবুকে তার দাদার মৃত্যু সংবাদটি নিশ্চিত করেন। তিনি লিখেছেন, “আমার দাদা মাহবুব আলী খান আজ বিকেল ৪:১০ নাগাদ ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আমার দাদা আর নেই। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।”
মনির খান বাংলাদেশের সংগীত জগতে একটি বিশিষ্ট নাম। ১৯৯৬ সালে তার প্রথম অ্যালবাম ‘তোমার কোন দোষ নেই’ প্রকাশিত হয়। অ্যালবামের প্রায় সব গানই শ্রোতাদের হৃদয় ছুঁয়ে যায়। বিশেষ করে শিরোনাম গানটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে এবং তাকে দেশজুড়ে পরিচিতি এনে দেয়।
এরপর থেকে মনির খান তার সংগীতজীবনে অসংখ্য জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন। চার দশকেরও বেশি একক অ্যালবাম এবং তিন শতাধিক দ্বৈত ও মিশ্র অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। পাশাপাশি পাঁচ শতাধিক সিনেমার গানেও কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি।
মো. মাহবুব আলী খানের মৃত্যুতে সংগীতাঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মনির খান ও তার পরিবারের জন্য শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন অনেক সংগীতশিল্পী, গীতিকার, সুরকার এবং ভক্তরা। তার আত্মার মাগফিরাত কামনায় সবাইকে দোয়া করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
মো. মাহবুব আলী খানের মৃত্যু তার পরিবার ও সংগীত জগতের জন্য একটি অপূরণীয় ক্ষতি। তার দীর্ঘ জীবন এবং পরিবারের প্রতি অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আমরা তার আত্মার শান্তি কামনা করি এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।