ঢাকা: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কোথায় আছেন এবং কেমন আছেন, তা নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন। গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ভারতের কলকাতার নিউটাউনে অবস্থান করছেন তিনি। সেখানে যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন সম্রাটের বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে আশ্রয় নিয়েছেন। শোনা যাচ্ছে, খুব শিগগিরই তিনি ভারত ছাড়িয়ে সিঙ্গাপুর হয়ে কানাডায় পাড়ি জমাবেন।
অন্যদিকে, কানাডার বেগমপাড়ায় ওবায়দুল কাদেরের একটি বিলাসবহুল বাড়ি রয়েছে বলে অনেক দিন ধরেই আলোচনা চলছে। এ ছাড়া সিঙ্গাপুর ও দুবাইয়ে তার বিলাসবহুল ফ্ল্যাট থাকার গুঞ্জনও রয়েছে।
শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে আরও জানা গেছে, দলটির শীর্ষ নেতাদের অনেকেই বর্তমানে কলকাতার নিউটাউন, পার্ক সার্কাস, গুলশান কলোনি ও ভাঙড় এলাকায় অবস্থান করছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, জাহাঙ্গীর কবির নানক, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সুভাষ চন্দ্র শীলসহ আরও অনেকে।
এ ছাড়া ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান এবং যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলও কলকাতায় রয়েছেন বলে জানা গেছে। নেতাদের এই পালানোর কারণ হিসেবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানকে উল্লেখ করা হচ্ছে।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, এসব নেতা ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা র’-এর তত্ত্বাবধানে রয়েছেন। তাদের লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের ভেতরে নাশকতা চালিয়ে সরকারকে বেকায়দায় ফেলা এবং রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করা। কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় তারা নিয়মিত বৈঠক করছেন বলে জানা গেছে।
নিউটাউন থানার পুলিশ অনুপ্রবেশকারীদের ধরতে অভিযান চালালেও এসব নেতা রয়েছেন প্রশাসনের প্রভাবশালী মহলের নজরদারির বাইরে। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় তারা সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন। এভাবে কলকাতা হয়ে উঠেছে আওয়ামী লীগ নেতাদের গোপন আস্তানা।
বাংলাদেশে অভ্যুত্থানের পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা গা ঢাকা দিতে বাধ্য হয়েছেন। শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও ওবায়দুল কাদের দেশেই লুকিয়েছিলেন বলে শোনা যায়। পরে গ্রেপ্তার এড়াতে ভারতের শরণাপন্ন হন।
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে কলকাতায় অবস্থান নেওয়া নেতাদের কার্যক্রম দেশীয় রাজনীতিতে কী প্রভাব ফেলবে, তা সময়ই বলে দেবে। তবে তাদের অবস্থান নিয়ে দেশবাসীর মনে তৈরি হয়েছে নানা প্রশ্ন।