মুসলিম নারীদের নিকাব পরার স্বাধীনতা নিয়ে সরব হয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই শীর্ষ নেতা, সারজিস আলম এবং হাসনাত আব্দুল্লাহ। সম্প্রতি সারজিস আলম তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে একটি পোস্টের মাধ্যমে এ বিষয়ে গভীর আক্ষেপ প্রকাশ করেন। তার দাবি, যদি টিশার্ট পড়ে টকশোতে অংশ নেওয়া যায়, তবে নিকাব পড়ে টকশোতে অংশগ্রহণের সুযোগ থাকবে না কেন?
জানা যায়, দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে অংশ নেওয়ার কথা ছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক নাফিসা ইসলাম সাকাফির। নাফিসা নিকাব পরেই টকশোতে যোগ দিতে চেয়েছিলেন, তবে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ তার এই প্রস্তাব নাকচ করে দেয়। এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে সারজিস আলম তার পোস্টে বলেন,
“কেউ যদি টিশার্ট পড়ে টকশোতে স্বাধীনতা পায়, তাহলে নিকাব পড়ে টকশোতে যোগ দেওয়ার স্বাধীনতা থাকবে না কেন?”

তিনি আরও উল্লেখ করেন, নিকাব পরেও নাফিসা ইসলাম সাকাফি রাজপথে খুনি হাসিনার বিরুদ্ধে লড়েছেন এবং নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাহলে মিডিয়াতে তার অংশগ্রহণে আপত্তি কোথায়?
পোস্টে সারজিস আলম আরও প্রশ্ন তোলেন, “মিডিয়া থেকে ইসলামফোবিয়া কবে দূর হবে?” তার মতে, মুসলিম নারীদের পর্দার স্বাধীনতা তাদের মৌলিক অধিকার। তিনি এ বিষয়টি সমাজে বিদ্যমান পক্ষপাতিত্বের একটি উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহও একই ইস্যুতে তার অবস্থান তুলে ধরেন। তার পোস্টে তিনি লেখেন,
“কোন কালে একা হয়নি জয়ী পুরুষের তরবারি, প্রেরণা দিয়েছে শক্তি দিয়েছে বিজয় লক্ষী নারী।”
তিনি আরও বলেন, ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নাফিসার মতো নিকাব পরিহিত শিক্ষার্থীরা সামনের সারিতে থেকে লড়াই করেছেন। তার মতে, রাজপথে পর্দা করে নেতৃত্ব দেওয়া সম্ভব হলে টকশোতেও তাদের অংশগ্রহণ বাধাহীন হওয়া উচিত।
সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহর এই অবস্থান ইতোমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। অনেকেই তাদের এ প্রতিবাদকে সমর্থন জানাচ্ছেন। অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, পর্দা করে নেতৃত্ব দেওয়া নারীরা মিডিয়াতে কেন বাধার মুখে পড়বেন?