ঢাকা, ১৭ জানুয়ারি:
গত ৫ আগস্ট ছাত্র ও জনতার গণআন্দোলনের পর থেকেই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচার করে আসছে। ফ্যাক্ট চেকে এসব তথ্যের অনেকটাই মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। সম্প্রতি, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক নতুন মোড় নিয়েছে, যা ঘিরে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো একের পর এক বিতর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশ করছে।
দীর্ঘ কয়েক দশক পর আবারও বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্য শুরু হয়েছে। পাশাপাশি, পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করছে ঢাকা। দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য, ক্রীড়া ও সংস্কৃতির আদান-প্রদান বৃদ্ধির বিষয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফকে ১৯৭১ সালের অমীমাংসিত বিষয়গুলো মীমাংসার প্রস্তাব দিয়েছেন। দুই দেশের সরকারপ্রধানরা বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে সম্মত হয়েছেন।
ভারতের গণমাধ্যম নিউজ ১৮ দাবি করেছে, পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠতা নাকি ভারতের উপর চাপ সৃষ্টি করার কৌশল। তারা আরও বলেছে, বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা কম থাকায় পাকিস্তানের সহযোগিতায় ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ভারতের গণমাধ্যমগুলো মিথ্যা দাবি করছে যে, বাংলাদেশ চীন, পাকিস্তান ও তুরস্কের উপর নির্ভর করে পরমাণু অস্ত্র অর্জনের চেষ্টা করছে। তবে এসব দাবি বাস্তবতার সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ।
বাংলাদেশে তুরস্ক প্রায় ৩০ কোটি ডলারের বিনিয়োগ করেছে। এলপিজি, ইলেকট্রনিক্স, এবং কোকাকোলা বোটলিং ছাড়াও নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর আগ্রহ দেখিয়েছে তারা। তুরস্কের সামরিক সরঞ্জাম রপ্তানি ও সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা চলছে, তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত প্রতিরক্ষা বিভাগের উপর নির্ভর করছে।
নেটিজেনদের মতে, বাংলাদেশ তার বাণিজ্য বা প্রতিরক্ষা সম্পর্ক যেকোনো দেশের সঙ্গে ভালো করলেই তা ভারতের জন্য অস্বস্তিকর হয়ে দাঁড়ায়। দিল্লি এসব সম্পর্ককে রাজনৈতিক চাপে পরিণত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বাংলাদেশ তার বৈদেশিক নীতিতে সার্বভৌম অবস্থান বজায় রেখে উন্নয়ন ও কূটনৈতিক সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। দেশের বাণিজ্য ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের উন্নয়নে সরকারের এই পদক্ষেপ অত্যন্ত প্রশংসনীয়।