রাজশাহী: বন্যা এবং আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির প্রভাবের কারণে আমনের উৎপাদন কমে চালের বাজারে কিছুটা অস্থিরতা দেখা দিলেও দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশাবাদ জানিয়েছেন রাজশাহী বিভাগের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক মাইন উদ্দিন।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে রাজশাহী খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, “বন্যা, উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক বাজারের অস্থিরতার কারণে দেশে চালের দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে এটি কেজিতে ২ টাকার বেশি নয়। সরকার চাল আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক প্রত্যাহার করেছে এবং আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে খাদ্যশস্য আমদানি কার্যক্রম জোরদার করেছে। ফলে বাজারে ইতোমধ্যে স্থিতিশীলতা ফিরে আসতে শুরু করেছে। আগামী এক মাসের মধ্যে পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হবে।”
সরকারি পর্যায়ে ৪ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এর মধ্যে ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরে খালাস শুরু হয়েছে। এছাড়া রাজশাহী বিভাগে বেসরকারি পর্যায়ে ৩ লাখ ৫৫ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ইতোমধ্যে ১৫ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে।
মাইন উদ্দিন জানান, “মহানগর, জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে খোলাবাজারে (ওএমএস) কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য চাল বিতরণের এই কার্যক্রম বাজার স্থিতিশীল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এছাড়া অবৈধ মজুতকারী ও লাইসেন্সবিহীন ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান শিগগিরই শুরু হবে।”
সভায় উপস্থিত চাল কল মালিকরা জানান, বিদেশ থেকে ব্যাপক চাল আমদানির কারণে কিছু চাল মজুত থাকলেও এটি অস্বাভাবিক নয়। সরকারি উদ্যোগের ফলে বাজারে চালের দাম ইতোমধ্যে কিছুটা কমেছে এবং আমদানির মাধ্যমে দেশের খাদ্যশস্যের মজুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।