স্টাফ রিপোর্টার
কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন দ্বীপে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (১৪ জানুয়ারি) ভোররাত ৩টার দিকে দ্বীপের পশ্চিম সৈকতের গলাচিপা এলাকায় এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। এতে শায়রী, বিচ ভ্যালি এবং কিংশুক রিসোর্ট সম্পূর্ণভাবে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দ্বীপের বর্জ্য বালিয়াড়িতে পোড়ানো হয়, যা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে। তবে দ্বীপে কোনো ফায়ার সার্ভিসের ব্যবস্থা না থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঘটে।
স্থানীয় একজন বাসিন্দা বলেন, “আমাদের চোখের সামনেই রিসোর্টগুলো পুড়ে যায়। কিন্তু আগুন নেভানোর কোনো উন্নত সরঞ্জাম না থাকায় আমরা কিছুই করতে পারিনি।”
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, “মধ্যরাতে ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডে তিনটি রিসোর্ট সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। তবে আশার কথা হলো, এই ঘটনায় কোনো পর্যটক বা স্থানীয় বাসিন্দার হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। যদি উন্নত মানের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা থাকতো, তাহলে ক্ষতির পরিমাণ অনেক কমানো যেত।”
দ্বীপে ফায়ার সার্ভিসের না থাকা এবং পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জামের অভাবে এ ধরনের দুর্ঘটনার ঝুঁকি দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছে। এ বিষয়ে স্থানীয়রা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত রিসোর্টগুলো পুনর্গঠনের উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান।
সেন্টমার্টিনের মতো জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রে এ ধরনের দুর্ঘটনা রোধে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার উন্নতি এবং সচেতনতা কার্যক্রম