মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘুষ প্রদানের একটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলেও আদালত তাকে নিঃশর্ত মুক্তি দিয়েছেন। এটি তাকে মার্কিন ইতিহাসে প্রথম ফৌজদারি দণ্ডিত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের রেকর্ড করেছে। শনিবার (১১ জানুয়ারি) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর নিশ্চিত করেছে।
নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে তিনি ২০১৬ সালের নির্বাচনের সময় পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে গোপন অর্থ প্রদানের মাধ্যমে তার মুখ বন্ধ রাখতে বাধ্য করেছিলেন। আদালতের বিচারক জুয়ান মেরচান এ মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করলেও, তাকে কোনো জেল বা জরিমানার শাস্তি দেননি।
বিচারক মেরচান তার রায়ে উল্লেখ করেন, “এই আদালত এর আগে কখনও এত অনন্য পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়নি। এই মামলা মার্কিন বিচার ব্যবস্থায় একটি ব্যতিক্রমী নজির তৈরি করেছে।”
ফ্লোরিডা থেকে ভিডিও কলে যুক্ত হয়ে ট্রাম্প নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন এবং এ মামলাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, “এটি বিচার ব্যবস্থার অস্ত্রীকরণ। এই মামলা ম্যানহাটানের জেলা অ্যাটর্নি অ্যালভিন ব্র্যাগের রাজনৈতিক চক্রান্তের অংশ। আমার প্রতি খুব অন্যায় করা হয়েছে।”
বিচারক মেরচান ট্রাম্পের বক্তব্যের পর মামলার ব্যাপারে দীর্ঘ আলোচনা করেন এবং সবকিছু বিবেচনা করে তাকে নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ফৌজদারি দণ্ড থাকা সত্ত্বেও, গত নভেম্বরে মার্কিন জনগণ তাকে দ্বিতীয়বারের জন্য প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত করে। বিচারক মেরচান এই বিষয়টি তার রায়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “আমেরিকার সর্বোচ্চ পদে দায়িত্ব পালনকারীর ক্ষেত্রে কোনো রায় এমন হওয়া উচিত যা রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতায় প্রভাব না ফেলে।”