বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক তালাত রাফির বিরুদ্ধে অপপ্রচার
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সম্প্রতি একটি ফটোকার্ড ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দাবি করা হয়েছে যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রামের সমন্বয়ক তালাত রাফি তদবিরে জড়িত এবং তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৩২ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। তবে এই প্রচারণাকে সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং অপপ্রচার বলে উল্লেখ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
বুধবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে হাসনাত বলেন, “এসব অপপ্রচার জুন মাস থেকেই শুরু হয়েছে। প্রথমে সাদ্দাম বলল আমরা নাকি ১০০ কোটি টাকা খেয়ে আন্দোলনে নেমেছি। আগস্টের ৪ তারিখেও বলা হলো যে আমরা টাকা নিয়ে পালানোর সময় ধরা পড়েছি।”
হাসনাত আরও বলেন, “কিছুদিন আগে ছড়ানো হলো যে আমরা ২০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছি। এরপরে শুনলাম আর্মি নাকি আমাকে অ্যারেস্ট করে থানায় নিয়ে গেছে। এখন বলা হচ্ছে তালাত রাফি ৩২ কোটি টাকা খেয়েছে। এই ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই।”
হাসনাত আব্দুল্লাহ এই ধরনের গুজব এবং অপপ্রচারের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, “এই অপপ্রচারের সাথে লড়াই করেই আমাদের পথ চলতে হয়েছে। হাসিনার পতন ঘটানোর জন্য আমরা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। এটা আমাদের নিয়তি। কিন্তু যারা সত্যিকারের বৈষম্যবিরোধী লড়াই করছে, তাদের বিরুদ্ধে এমন ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে বিতর্কিত করার চেষ্টা কার স্বার্থে?”
তিনি আরও বলেন, “আমরা মেনে নিয়েছি যে এই লড়াই সহজ হবে না। কিন্তু যারা আপস করেনি, তাদের সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে কার লাভ হচ্ছে, সেটাই প্রশ্ন।”
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ধরনের গুজব এবং অপপ্রচার আন্দোলনের নেতৃত্বকে দুর্বল করার একটি চেষ্টা। একদিকে আন্দোলনকারীদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা, অন্যদিকে জনসাধারণের সমর্থন কমানোর উদ্দেশ্যেই এ ধরনের কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে।
হাসনাত আহ্বান জানান, “জনসাধারণকে অনুরোধ করব, এমন কোনো তথ্য বিশ্বাস করবেন না যা প্রমাণবিহীন। সোর্সহীন তথ্যে বিভ্রান্ত হয়ে আন্দোলনের সঠিক উদ্দেশ্যকে ব্যাহত করবেন না।”
গুজব এবং অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের লড়াই নতুন নয়। তবে এই ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ আন্দোলনের সঠিক উদ্দেশ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। জনসাধারণকে সচেতন থেকে সত্য ও মিথ্যার মধ্যে পার্থক্য করার আহ্বান জানিয়েছেন আন্দোলনের নেতারা। সঠিক তথ্য এবং ন্যায্য বিচার নিশ্চিত করার জন্য সবারই দায়িত্ব রয়েছে।