দেশের মানুষের প্রধান খাদ্য চালের বাজারে অস্থিরতা যেন থামছেই না। স্বয়ংসম্পন্ন চাল উৎপাদন সত্ত্বেও মিলার ও ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারসাজিতে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে সরু চালের দাম কেজিপ্রতি ১০ টাকা বেড়ে সর্বোচ্চ ৮৫-৮৬ টাকায় পৌঁছেছে। শুধু সরু চাল নয়, মধ্যবিত্তের ভরসার মোটা চালের দামেও লেগেছে ঊর্ধ্বগতির হাওয়া। এতে ভোক্তারা পড়েছেন বড় ধরনের বিড়ম্বনায়।
বাজার পর্যবেক্ষণ ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত দুই সপ্তাহে সরু চালের কেজি ৭৫ টাকা থেকে বেড়ে ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নাজিরশাইল চালের দামও একই সময়কালে ৭০-৭৮ টাকা থেকে বেড়ে ৭৬-৮৬ টাকায় ঠেকেছে। পাইকারি বাজারেও প্রতি বস্তা চালের দাম বেড়েছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। ব্যবসায়ীদের দাবি, মিলমালিকরা কেজি প্রতি ৫-৬ টাকা বাড়িয়ে দেওয়ায় এই দাম বৃদ্ধি হয়েছে। অথচ বাজারে কোনো চালের সংকট নেই।
পাইকারি ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, দেশের চালের বাজার মূলত কয়েকটি মাফিয়া কোম্পানির নিয়ন্ত্রণে। তারা নিজেদের স্বার্থে চালের দাম ক্রমাগত বাড়িয়ে দিচ্ছে। এ ধরনের সিন্ডিকেটের কারণে ভোক্তা ও সাধারণ ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম নাজের হোসাইন বলেছেন, “প্রতিযোগিতামূলক বাজার গঠনের দায়িত্ব প্রতিযোগিতা কমিশনের। কিন্তু তাদের কার্যক্রম দেখে মনে হয়, তারা বাজার থেকে হারিয়ে গেছে।” বাজার মনিটরিংয়ে নিয়োজিত বিভিন্ন সরকারি সংস্থার ভূমিকা নিয়েও তিনি সমালোচনা করেন।