ঢাকা:
আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ দেশের রাজনীতিতে সুশাসনের ঘাটতি ও প্রশাসনিক অক্ষমতার তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের রাজনীতিতে অধিকাংশ ক্ষেত্রে এমন কিছু লোক জড়িত যারা ‘বদমাশ টাইপের’। শেষ পর্যন্ত তাদেরকেই দেশের দায়িত্ব নিতে হয়।”
এক আলোচনা সভায় ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, “বাংলাদেশে মোটা দাগে কিছু বদমাইশ টাইপের লোক পলিটিক্স করে। দিন শেষে এই বদমাইশ গুলোই তো দেশ চালায়। আপনার হাতে কোনো বিকল্প নেই। তাদের এক রাতেই ফেরেশতা বানানো সম্ভব নয়। এ জন্য সময় ও কার্যকর পরিকল্পনার প্রয়োজন।”
তিনি উল্লেখ করেন, যারা রাজনীতি করেন, তাদের সঙ্গে বসে আলোচনা করে, বিভিন্ন সভার মাধ্যমে শিক্ষা দেওয়ার প্রয়োজন। তিনি বলেন, “রাতারাতি পরিবর্তন সম্ভব নয়। পরিবর্তনের জন্য ধৈর্য এবং সুশাসনের প্রতি অঙ্গীকার থাকতে হবে।”
ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বড় ব্যর্থতা হলো শাসন ব্যবস্থার দুর্বলতা। “তারা প্রশাসনিক দক্ষতা দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে এবং সুশাসনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ কনসাল্টেশনের অভাব রয়েছে,” তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি উদাহরণ হিসেবে বলেন, “ইংল্যান্ডের মতো দেশে একটি আইন প্রণয়নে তিন বছর সময় লাগে, কারণ তারা প্রতিটি স্তরে মানুষের মতামত নেয়। কিন্তু আমাদের দেশে এমন প্রক্রিয়া নেই। বরং ক্ষমতাসীনদের স্বার্থরক্ষায় মনোযোগী ব্যক্তিদের পরামর্শ নেওয়া হয়।”
ফুয়াদ অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময়ে সরকারের অনীহা রয়েছে। তিনি বলেন, “কমিশনগুলো রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে না। ফলে প্রণীত সিদ্ধান্তগুলো কার্যকর হয় না। এর ফলে এক ধরনের শূন্যতা তৈরি হয়, যা দুঃখজনক।”
তিনি দেশের বিচারব্যবস্থার দুর্বলতার কথা তুলে ধরে বলেন, “মিথ্যা মামলার জট মেটাতে ক্রিমিনাল কেসেস রিভিউ কমিশন গঠন করা প্রয়োজন। অন্যথায়, রাজনৈতিক স্বজনপ্রীতি ও বৈষম্য বেড়েই চলবে।”
ব্যারিস্টার ফুয়াদ আরও বলেন, “আমলাতন্ত্রের দুর্বলতা ও ক্ষমতাসীনদের স্বার্থপরতা দেশকে পেছনে টেনে ধরছে। তাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা জরুরি।”
সমাপ্তি বক্তব্যে তিনি বলেন, “আমাদের রাষ্ট্র কাঠামোকে সুশাসনের পথে পরিচালিত করতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। নাহলে দেশ আবারও অস্থিরতার দিকে ধাবিত হবে।”