সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ সম্প্রতি তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দিয়ে আওয়ামী লীগের প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের জানাজা এবং দলীয় নেতাদের কর্মকাণ্ড নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। তাঁর এই পোস্ট সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সোহেল তাজ তাঁর ফেসবুক পেজে ‘হাঁটে হাড়ি ভাঙা’ শীর্ষক পোস্টে উল্লেখ করেন, সৈয়দ আশরাফের তিনটি জানাজা আয়োজনের খবর শুনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন।
তিনি লেখেন, “সৈয়দ আশরাফের তিনটি জানাজা হবে শুনে শেখ হাসিনা বিরক্তি প্রকাশ করেন এবং সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে ধমকের সুরে জিজ্ঞাসা করেন, ‘ও এত বড় কী হয়ে গেল যে তিনটা জানাজা পড়াতে হবে?’ জবাবে ওবায়দুল কাদের কাঁচুমাচু করে বলেন, ‘নেতাকর্মীরা ওনাকে অনেক পছন্দ করে, আর তাদেরই দাবি—না মানলে সামলানো যাবে না।’”
সোহেল তাজ তাঁর পোস্টে শাপলা চত্বরের ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে আনেন। তিনি লিখেছেন, “আপনারা যারা আশরাফ ভাইকে শাপলা চত্বরের ঘটনায় দোষারোপ করছেন, তা সঠিক নয়। তিনি হয়তো কিছু কথা বলে থাকতে পারেন, কিন্তু সব সিদ্ধান্ত আসত একেবারে ওপর থেকে।”
সোহেল তাজ আরও লেখেন, “নীতি ও আদর্শ বিচ্যুত খারাপ মানুষের প্রশংসা আমার প্রয়োজন নেই—আমি আপনাদেরকে চিনি।” তিনি আওয়ামী লীগের ব্রেইনওয়াশড, নীতি ও আদর্শহীন লুটেরা, খুনি, হত্যা, গুম এবং নির্যাতনকারীদের সমর্থকদের উদ্দেশ্যে কড়া ভাষায় বলেন, “অনতিবিলম্বে আমার এই ফেসবুক পেজটি আনফলো করুন এবং নিজের বিবেক জাগিয়ে আত্মসমালোচনা করুন।”
সোহেল তাজের এই সাহসী মন্তব্য আওয়ামী লীগের ভেতরে ও বাইরে নতুন করে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, তাঁর বক্তব্য বর্তমান রাজনীতির বিভিন্ন দিক উন্মোচন করেছে।
সোহেল তাজের এই পোস্টে দেশজুড়ে সাধারণ মানুষ এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকে তাঁর সাহসী অবস্থানকে সাধুবাদ জানিয়েছেন, আবার কেউ কেউ তাঁর মন্তব্যকে দলীয় শৃঙ্খলার বিপরীতে বলে অভিহিত করেছেন।