প্রবর্তক সংঘের ভূমি ও মন্দির দখল
চট্টগ্রামের প্রবর্তক সংঘের পাহাড়ি জমি এবং মন্দির দখলের অভিযোগ উঠেছে ইসকনের বিরুদ্ধে। স্থানীয়দের দাবি, ইজারার শর্ত ভেঙে ইসকন তিন একরের বেশি জমি দখল করে সেখানে একটি বিশাল মন্দির নির্মাণ করেছে। প্রবর্তক সংঘের সদস্যদের মন্দিরে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পাহাড়ের ভূমি কেটে নির্মাণাধীন ভবন ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনায় পরিবেশ আইন উপেক্ষিত হয়েছে বলে অভিযোগ।
শেফালী ঘোষের বাড়ি দখলের অভিযোগ
আঞ্চলিক গানের কিংবদন্তি শেফালী ঘোষের চট্টগ্রামের নন্দনকাননের বাড়ি দখল এবং মূল্যবান স্মারক লুটের অভিযোগ উঠেছে ইসকনের বিরুদ্ধে। শিল্পীর পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, ২০২২ সালে ইসকনের সদস্যরা সশস্ত্র অবস্থায় বাড়ি দখল করে। পরিবারটি মামলা করতে গেলে রাজনৈতিক হুমকির মুখে থানা অভিযোগ নেয়নি।
বিএনপি নেতা মীর নাছিরের জমি নিয়ে বিরোধ
হাটহাজারীতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মীর নাছির উদ্দিনের জমি দখলের অভিযোগে ইসকনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। মীর নাছিরের পরিবারের দাবি, জমিটি তাদের ক্রয়কৃত হলেও ইসকন জোরপূর্বক সীমানা প্রাচীর ভেঙে দখল করে।
নওফেলের ইসকন সংশ্লিষ্টতা ও পলায়নের তথ্য
সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল নিজেকে ইসকনের সদস্য হিসেবে পরিচয় দেন। অভিযোগ রয়েছে, সরকারের পতনের পর নওফেল ইসকনের সহায়তায় দেশত্যাগ করেন।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের উদ্বেগ
নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইসকনের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ডার অংশ হতে পারে। তারা এ বিষয়ে বিশেষ নজরদারির আহ্বান জানিয়েছেন।
ইসকনের প্রতিক্রিয়া
ইসকনের পক্ষ থেকে জমি দখলের সব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তাদের দাবি, শেফালী ঘোষের বাড়ি তার পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে এবং হাটহাজারীর জমি মূল মালিকের কাছ থেকে ক্রয় করা হয়েছে।
নিরপেক্ষ তদন্ত ও আইন প্রয়োগের দাবি
ইসকনের বিরুদ্ধে ওঠা এসব অভিযোগ নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে সমাধান এবং দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।