বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হলে রাত পেরোতে সময় লাগবে না। তবে তারা চায়, এই সরকার জনগণের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা ছেড়ে দিক। তিনি বলেন, ‘আমরা এই মুহূর্তে আন্দোলনে নামলে সরকার টিকে থাকতে পারবে না। তবে আমাদের উদ্দেশ্য সরকার পতন নয়, বরং ছাত্র-জনতার মাধ্যমে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করা।’
সোমবার বিকেলে খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বিজয় দিবস উপলক্ষে “সবার আগে বাংলাদেশ” শিরোনামে আয়োজিত এ সভা অনুষ্ঠিত হয় নগরীর শিববাড়ী মোড়ে।
সরকারের প্রতি আহ্বান
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সরকারকে ব্যর্থ করার কোনো ষড়যন্ত্র বিএনপি করছে না। তবে সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। তিনি বলেন, ‘সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। কিন্তু নির্বাচনের আগে এই সংস্কার কীভাবে হবে, সেটি সরকারকে স্পষ্ট করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জনগণ সরকারকে নির্বাচনের জন্য দায়িত্ব দিয়েছে। তাই তাদের আশা পূরণ করতে হবে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।’
নবগঠিত কমিটির পরিচিতি
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন দলের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল।
এ সময় জেলা বিএনপির নবগঠিত তিন সদস্যের কমিটির নেতাদের পরিচিতি পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু, যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মোমরেজুল ইসলাম এবং সদস্য সচিব আবু হোসেন বাবুকে উপস্থিত নেতাকর্মীদের সামনে পরিচয় করিয়ে দেন আজিজুল বারী হেলাল।
শোভাযাত্রা
আলোচনা সভা শেষে একটি শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। শোভাযাত্রাটি শিববাড়ি মোড় থেকে শুরু হয়ে ময়লাপোতা মোড় ঘুরে রয়েল চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। এতে বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বক্তব্য ও শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের উপস্থিতি প্রমাণ করে, বিএনপি এখনো গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে দেশের জনগণের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।