ঢাকা, ১৩ আগস্ট ২০২৪: সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে আটকের গুঞ্জন উঠেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে এই গুঞ্জন ছড়ালেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে এ বিষয়ে এখনো কোনো নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর মন্ত্রিপরিষদের সদস্য থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগের বেশিরভাগ নেতা আত্মগোপনে চলে যান। আত্মগোপনে থাকা নেতাদের মধ্যে ছিলেন ওবায়দুল কাদেরও। মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানকে গ্রেপ্তারের খবর নিশ্চিত করেছে পুলিশ। এ সময় ওবায়দুল কাদেরের আটকের গুঞ্জনও ছড়িয়ে পড়ে।
ওবায়দুল কাদের দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন এবং তার বিভিন্ন রাজনৈতিক বক্তব্য যেমন ‘খেলা হবে’, ‘অন্তরে জ্বালা’ প্রভৃতি নিয়ে সবসময় আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন।
কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান ছাত্র আন্দোলন মোকাবিলায় গত ১৫ জুলাই ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, “ছাত্রলীগই যথেষ্ট”। তার এই বক্তব্যের পরপরই ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ, যার মধ্যে নারী শিক্ষার্থীরাও ছিলেন। এই হামলার পর গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রক্তাক্ত শিক্ষার্থীদের ছবি প্রকাশ হলে দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। সেই সাথে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনও আরও গতিশীল হয়ে ওঠে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে নির্বিচারে গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ উঠলেও ওবায়দুল কাদের ২ আগস্ট এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি দাবি করেন, “দেখামাত্র গুলির নির্দেশ” কখনোই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দেওয়া হয়নি।
ওবায়দুল কাদের ২০১৬ সালে আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৯ এবং ২০২২ সালে টানা দ্বিতীয় ও তৃতীয়বারের মতো তিনি একই পদে পুনর্নির্বাচিত হন, যা আওয়ামী লীগের ইতিহাসে প্রথম।
ওবায়দুল কাদের ১৯৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলন এবং ১৯৬৯ সালের গণআন্দোলনসহ বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছিলেন। ১৯৭১ সালে মুজিব