টেকনাফের নাফ নদীতে সব ধরনের ট্রলার চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড (বিসিজি)। একইসঙ্গে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে যাত্রীবাহী ও মৎস্য ট্রলার চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে এ সতর্কতা জারি করা হয়।
জানা গেছে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু এলাকায় আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধির খবর ছড়িয়ে পড়ার পর টেকনাফের স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে। বিশেষত, নাফ নদীতে মাছ ধরার সময় জেলেদের আটক করা নিয়ে নতুন আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। আরাকান আর্মির আচরণে স্থানীয়রা ভীত হয়ে পড়েছেন।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, “মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের চলমান সংঘাত ও উত্তেজনাকর পরিস্থিতির কারণে সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি ও কোস্টগার্ড সদস্যদের টহল জোরদার করা হয়েছে।”
স্থানীয় সচেতন মহল মনে করছে, আরাকান আর্মি সীমান্তে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা চালাতে পারে। এ পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গারা নতুন করে বাংলাদেশের সীমান্ত পেরিয়ে আসার চেষ্টা করতে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে। তাই সীমান্ত এলাকার পাশাপাশি রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
মংডু শহরে সংঘাতের খবর ছড়িয়ে পড়ার পরপরই টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে সব ধরনের ট্রলার চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। স্থানীয় প্রশাসন থেকে মাইকিং করে জনগণকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
নাফ নদী ও সীমান্ত এলাকায় বিজিবি ও কোস্টগার্ডের টহল অব্যাহত রয়েছে। সীমান্তে অস্থিরতা রোধ এবং স্থানীয় জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসন সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে।





















































