ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি খিলক্ষেত থানায় এক বিশাল কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই কর্মশালার মূল বিষয় ছিল বিএনপির রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা পরিকল্পনা। দলটির নেতা-কর্মীদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি এবং দলের রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনের কৌশল নিয়ে এই কর্মশালায় আলোচনা করা হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি লন্ডন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে কর্মশালায় যুক্ত হয়ে বক্তব্য প্রদান করেন। উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক। প্রধান বক্তা ছিলেন মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যুগ্ম আহ্বায়ক আক্তার হোসেন এবং খিলক্ষেত থানার সাবেক যুবদল সভাপতি ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোবারক হোসাইন দেওয়ান।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি লন্ডন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে কর্মশালায় যুক্ত হয়ে বক্তব্য প্রদান করেন। উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক আমিনুল হক। প্রধান বক্তা ছিলেন মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যুগ্ম আহ্বায়ক আক্তার হোসেন।
বিএনপির রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা পরিকল্পনা দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ও পুনর্গঠনকে লক্ষ্য করে তৈরি করা হয়েছে। এই কর্মসূচির আওতায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, দুর্নীতি প্রতিরোধ, আইনের শাসন নিশ্চিতকরণ, এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
কর্মশালার সভাপতিত্ব করেন খিলক্ষেত থানা বিএনপির আহ্বায়ক হাজী এস এম ফজলুল হক। তিনি বলেন, “রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা শুধু বিএনপির রাজনৈতিক এজেন্ডা নয়, এটি একটি জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা। আমাদের লক্ষ্য একটি গণতান্ত্রিক, স্বচ্ছ ও উন্নত বাংলাদেশ গড়া। এই কর্মশালা সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”
উপস্থিত নেতৃবৃন্দ এই কর্মশালার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নে দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের আরও বেশি দক্ষ এবং দায়িত্বশীল হতে হবে।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেন, “আমাদের দায়িত্ব হলো জনগণের পাশে থেকে তাদের প্রত্যাশা পূরণ করা। এই কর্মশালার মাধ্যমে আমরা বিএনপির ৩১ দফার মর্মার্থ বুঝতে পেরেছি এবং তা বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।”
যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “বিএনপির নেতৃত্বে রাষ্ট্র পুনর্গঠনের এই পরিকল্পনা বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য কল্যাণকর। আমরা এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে নিরলস কাজ করে যাব।”
বিশেষ অতিথি আক্তার হোসেন তার বক্তৃতায় বিএনপির ৩১ দফা পরিকল্পনার প্রতিটি দফার বাস্তবায়ন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি বলেন, “প্রত্যেকটি দফা জাতীয় উন্নয়ন এবং সুশাসন নিশ্চিত করতে প্রণীত হয়েছে। এগুলো বাস্তবায়নের জন্য সবার আগে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে।”
আক্তার হোসেন বলেন, “এই ৩১ দফা শুধু একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির পরিকল্পনা নয়; এটি একটি ঐক্যবদ্ধ, সুশৃঙ্খল এবং কল্যাণমুখী রাষ্ট্র গড়ার জন্য একটি রূপরেখা।”
মোবারক হোসাইন দেওয়ান বলেন, “আমাদের প্রজন্মের দায়িত্ব হলো ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর, সুশৃঙ্খল এবং গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তোলা। এই কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী প্রতিটি নেতা-কর্মীর ওপর বড় দায়িত্ব রয়েছে। আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করলে রাষ্ট্র মেরামতের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব।”
তিনি আরও বলেন, “খিলক্ষেত থানা বিএনপির পক্ষ থেকে আমরা অঙ্গীকার করছি যে ৩১ দফার প্রতিটি দিক বাস্তবায়নের জন্য আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকব। কর্মশালায় যে শিক্ষাগুলো আমরা পেয়েছি, তা মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন করব।”
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি এই কর্মশালা আয়োজন এবং নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আহ্বায়ক কমিটির সদস্যরা তাদের দায়িত্বশীল নেতৃত্বের মাধ্যমে দলীয় কার্যক্রমকে গতিশীল করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আহ্বায়ক কমিটির সদস্যবৃন্দ:
১। আমিনুল হক (আহ্বায়ক)
২। মোস্তাফিজুর রহমান (যুগ্ম আহ্বায়ক)
৩। এস এম জাহাঙ্গীর (যুগ্ম আহ্বায়ক)
৪। ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি (যুগ্ম আহ্বায়ক)
৫। এ বি এম রাজ্জাক (যুগ্ম আহ্বায়ক)
৬। মোঃ আতাউর রহমান (যুগ্ম আহ্বায়ক)
৭। মোঃ গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ (যুগ্ম আহ্বায়ক)
৮। মোঃ তুহিরুল ইসলাম তুহিন (যুগ্ম আহ্বায়ক)
৯। মোঃ এন কফিল উদ্দিন (যুগ্ম আহ্বায়ক)
কর্মশালায় উপস্থিত নেতা-কর্মীরা রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নে একমত হন এবং তা কার্যকর করার জন্য প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা পান। কর্মশালার শেষে দলীয় কর্মীদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা ও ঐক্যের প্রতিফলন দেখা যায়।
বিএনপির এই কর্মশালা দলের নেতাকর্মীদের জন্য নতুন দিকনির্দেশনা প্রদান করেছে। রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফার মাধ্যমে দলটি ভবিষ্যতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার পরিকল্পনা করছে। উপস্থিত নেতৃবৃন্দ ও কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব হবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।