প্রথম মুসলিম নারী নভোচারী হিসেবে ইতিহাস গড়তে চলেছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের নোরা আল-মাতরুশি। ৩০ বছর বয়সী এই মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ইতোমধ্যে নাসার প্রশিক্ষণ কর্মসূচি সফলভাবে সম্পন্ন করেছেন। তিনি এখন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (আইএসএস) মিশনসহ আর্টেমিস চন্দ্র মিশন এবং মঙ্গল অভিযানের জন্যও প্রস্তুত।
দুবাইয়ে আয়োজিত বিশ্ব নারী ফোরামে ২৬ নভেম্বর এক বক্তব্যে নোরা বলেন, “মহাকাশশিল্পে মুসলিম বিজ্ঞানীদের সম্ভাবনা অত্যন্ত উজ্জ্বল। বৈজ্ঞানিক জ্ঞান ও উদ্ভাবনে আমাদের গৌরবময় ঐতিহ্য রয়েছে, যা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করতে পারে। আমাদের হারানোর কিছু নেই, জয় করার জন্য রয়েছে পুরো পৃথিবী।”
নোরা আল-মাতরুশি তার বক্তব্যে আরব আমিরাতের মহাকাশখাতের অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন। তিনি উল্লেখ করেন, “আমাদের পাঠানো মহাকাশযান ‘হোপ প্রোব’ ইতোমধ্যে মঙ্গলের কক্ষপথে সফলভাবে প্রদক্ষিণ করছে। এটি আরববিশ্ব এবং মানবতার জন্য এক অসামান্য সাফল্য।”
তিনি আরও জানান, আরব আমিরাত এরই মধ্যে বহু স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠিয়েছে এবং চাঁদে অনুসন্ধানের জন্য রোভারও তৈরি করেছে। এই অর্জনগুলো আরববিশ্বকে বৈশ্বিক মহাকাশখাতে নেতৃত্বের আসনে নিয়ে যাচ্ছে।
মহাকাশ গবেষণায় নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে নোরা বলেন, “যেসব চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করা সম্ভব, সেগুলো জয় করতে আরব আমিরাত আমাদের অফুরান অনুপ্রেরণা দিচ্ছে। আধুনিক প্রযুক্তি উদ্ভাবনেও আমাদের সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।”
নাসার কঠোর প্রশিক্ষণ প্রক্রিয়া সফলভাবে শেষ করেছেন নোরা। তিনি বলেন, “এই অর্জন শুধু আমার নয়, এটি আরববিশ্ব এবং মানবতার জন্য এক গর্বের বিষয়।” নোরা মনে করেন, মহাকাশে আরব এবং মুসলিম বিজ্ঞানীদের অংশগ্রহণ নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে এবং বৈজ্ঞানিক উৎকর্ষতায় মুসলিম বিশ্বকে আবার শীর্ষে পৌঁছে দেবে।
নোরা আল-মাতরুশির এই পথচলা শুধু একটি ব্যক্তিগত অর্জন নয়; এটি আরববিশ্ব ও মুসলিম নারীদের জন্য এক নতুন যুগের সূচনা। তার সাহসিকতা ও অগ্রগতির গল্প অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে আগামী প্রজন্মের কাছে।