পঞ্চগড় জেলার উত্তরের উপজেলা তেঁতুলিয়ায় শীতের তীব্রতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। টানা ৫ দিন তাপমাত্রা ১১ থেকে ১২ ডিগ্রিতে থাকার পর এবার তা আরও কমে এসেছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ জানিয়েছেন, ডিসেম্বর এবং জানুয়ারি মাসে তাপমাত্রা আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় একাধিক মৃদু এবং মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সন্ধ্যা নামতেই তেঁতুলিয়ার হিমেল বাতাসে শীতের তীব্রতা অনুভূত হচ্ছে। রাতের বেলায় গায়ে ভারি কাঁথা নিতে হচ্ছে। ভোরের দিকে ঠান্ডা আরও বাড়ে, ফলে কাজকর্মেও বিঘ্ন ঘটছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিনে ক্রমাগত তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। এর ফলে শীতের প্রভাব আরও তীব্রতর হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক মো. সাবেদ আলী জানিয়েছেন, শীতার্ত মানুষের জন্য আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে জেলার ৫টি উপজেলায় ২ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও অতিরিক্ত বরাদ্দসহ খাদ্য সহায়তা চেয়ে মন্ত্রণালয়ে বার্তা পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, “শীতার্ত মানুষের জন্য সহায়তা চাওয়া হয়েছে। সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানাই, যেন আমরা এই শীত সফলভাবে মোকাবিলা করতে পারি।”
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, সামনের দিনগুলোতে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। ফলে শীতের প্রকোপ আরও বাড়বে। তাই শীতার্ত মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ব্যক্তিগত ও সামাজিক সংগঠনগুলোকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে।
কীভাবে শীত মোকাবিলা করবেন:
শীতবস্ত্র ব্যবহার করুন।
শিশু ও বৃদ্ধদের উষ্ণ জায়গায় রাখুন।
প্রয়োজন ছাড়া ভোরে বা রাতে ঘরের বাইরে বের হওয়া থেকে বিরত থাকুন।
তেঁতুলিয়ার এই ঠান্ডা শুধু স্থানীয় মানুষের জন্য নয়, সারা দেশের শীতপ্রেমীদের জন্যও এক বিশেষ আকর্ষণ। তবে শীতের এই প্রকোপ যেন কারো জন্য কষ্টের কারণ না হয়, সে বিষয়ে সবার সচেতন থাকা জরুরি।