অন্যের উপকার করুন, ক্ষতি থেকে বিরত থাকুন: ইসলামের মহান শিক্ষা
ঢাকা:
ইসলামের অন্যতম শিক্ষা হলো মানুষের উপকার করা এবং কারও ক্ষতি না করা। একজন মুমিনের জীবনের মূলনীতি হওয়া উচিত অন্যের উপকার করা এবং ক্ষতিসাধন থেকে বিরত থাকা। কোরআন ও হাদিসে বারবার এ বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন,
“তোমরা নিজেদের মধ্যে একে অন্যের অর্থ-সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না এবং মানুষের ধন-সম্পদের কিয়দংশ জেনে-শুনে অন্যায়ভাবে গ্রাস করার উদ্দেশ্যে তা বিচারকের কাছে পেশ করো না।” (সূরা আল-বাকারা, আয়াত-১৮৮)।
অন্য আয়াতে বলা হয়েছে,
“নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের নির্দেশ দিচ্ছেন, তোমরা আমানতকে তার মালিকের কাছে ফেরত দাও।” (সূরা আন-নিসা, আয়াত-৫৮)।
হাদিস শরিফেও অন্যের ক্ষতি করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হজরত আবু সিরমা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,
“যে ব্যক্তি অন্য কারো ক্ষতিসাধন করে, আল্লাহ তায়ালা তা দিয়েই তার ক্ষতিসাধন করেন। যে ব্যক্তি অন্যকে কষ্ট দেয়, আল্লাহ তায়ালা তাকে কষ্টের মধ্যে ফেলেন।” (তিরমিজি, হাদিস : ১৯৪০)।
আরেক হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন,
“যার কাছে তার ভাইয়ের কোনো হক রয়েছে—তা মান-সম্মান বা সম্পদের হোক—সে যেন আজই মিটমাট করে নেয়। এমন দিন আসার আগেই, যেদিন কোনো অর্থকড়ি থাকবে না। সেদিন নেক আমল দিয়ে পাওনা শোধ করতে হবে, আর নেক আমল না থাকলে পাওনাদারের পাপ তার ওপর চাপিয়ে দেওয়া হবে।” (সহিহ বুখারি)।
আখিরাতে হবে প্রকৃত হিসাব-নিকাশ:
হাদিস থেকে জানা যায়, দুনিয়াতে কারও হক নষ্ট করা হলেও আখিরাতে এর সুবিচার হবে। কেউ দুনিয়ায় পার পেয়ে গেলেও আল্লাহর আদালতে তা থেকে মুক্তি নেই।
উপদেশ:
ইসলামের শিক্ষা অনুযায়ী, অন্যের হক নষ্ট না করা এবং সবার প্রতি ইনসাফ করা মুমিনদের কর্তব্য। সবার উচিত এ ব্যাপারে সতর্ক থাকা, কারণ দুনিয়ার ভুলের শাস্তি আখিরাতে অনিবার্য।
উপসংহার:
ইসলাম মানুষকে মানবিকতা, ন্যায়বিচার এবং উপকারের পথে পরিচালিত করে। অন্যকে কষ্ট না দিয়ে মানবকল্যাণে কাজ করাই ইসলামের মূল বার্তা।