ঢাকা, ২৮ নভেম্বর: রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে তিন কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ভিডিওকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া তথ্য ছড়ানো হয়েছে। ভিডিওটি বাংলাদেশের স্থানীয় সংঘর্ষের হলেও, এটি হিন্দু বিরোধী সহিংসতার ঘটনা হিসেবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। এই ভিডিও এরই মধ্যে ৪ লাখেরও বেশি বার দেখা হয়েছে এবং ভারতের একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করা হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ভিডিওটি গত ২৫ নভেম্বর রাজধানীর মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ, সরকারি শহিদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ এবং কবি নজরুল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের। ঘটনাটি ঘটে মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের সামনে। পূর্ববর্তী একটি ঘটনায় মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থী অভিজিৎ হাওলাদারের মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনার জেরে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
২৪ নভেম্বর ন্যাশনাল মেডিকেলে অভিজিতের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজসহ কয়েকটি কলেজের শিক্ষার্থীরা ঘেরাও কর্মসূচির আয়োজন করে। এতে ন্যাশনাল মেডিকেল এবং সোহরাওয়ার্দী কলেজে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পরের দিন প্রতিশোধ নিতে সোহরাওয়ার্দী ও কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থীরা সংঘর্ষে জড়ায়।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট, বিশেষ করে বিজেপি নেতাদের অ্যাকাউন্ট থেকে ভিডিওটি হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনা বলে দাবি করা হয়। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারীও এ ধরনের দাবি করেন। তবে, রিভার্স ইমেজ সার্চ এবং বাংলাদেশি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে স্পষ্ট হয়েছে, ভিডিওটি ধর্মীয় কোনো বিদ্বেষের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।
বাংলাদেশের গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, সংঘর্ষে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। ঘটনাটি স্থানীয় বিষয় এবং এতে কোনো ধর্মীয় সম্পৃক্ততা নেই।
:
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিত্তিহীন তথ্য ছড়িয়ে বাংলাদেশে ধর্মীয় সম্প্রীতিকে আঘাত করার চেষ্টা করা হয়েছে। রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে নিশ্চিত হয়েছে যে, এ ধরনের দাবি মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর।