ঢাকা: দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বুধবার (তারিখ উল্লেখ করুন) এক বিবৃতিতে তিনি জনগণের অধিকার ও স্থিতিশীলতার জন্য দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদ দেন।
তারেক রহমান বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতি অত্যন্ত ঘোলাটে। বিতাড়িত স্বৈরাচার ও তার দোসররা জনগণের ন্যায্য আন্দোলনকে ব্যবহার করে দেশে অরাজক পরিস্থিতি তৈরির অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। সরকারকে শক্ত হাতে এ পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে।”
তারেক রহমান অভিযোগ করেন, গত দেড় দশকে দেশের বিভিন্ন খাতে অনিয়ম ও দুর্নীতির পাহাড় গড়ে তুলেছিল বিতাড়িত স্বৈরাচার। বর্তমান আন্দোলনের মাধ্যমে জনগণ তাদের হারানো অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার চেষ্টায় রাস্তায় নেমেছে। কিন্তু এই আন্দোলনের আড়ালে ষড়যন্ত্রকারীরা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, “রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে যে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে, তা বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটি একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দ্রুততার সঙ্গে এই তৎপরতা তদন্ত করতে হবে।”
বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের গুরুত্ব তুলে ধরে তারেক রহমান বলেন, “দেশের কোটি কোটি মানুষ প্রতিদিন জীবিকার তাগিদে সাধ-সাধ্যের মধ্যে আপস করতে বাধ্য হচ্ছে। এই অবস্থায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে না আনলে ষড়যন্ত্রকারীরা এই ইস্যু কাজে লাগিয়ে সরকারকে অস্থিতিশীল করতে পারে।”
তারেক রহমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, “জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নিন। জনগণের আস্থা ধরে রাখতে হবে। কোনো অবস্থাতেই সরকার যেন ছাত্র-জনতার ঐক্যে ফাটল ধরার কারণ না হয়।”
দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “দাবি আদায়ে আন্দোলন করা জনগণের সাংবিধানিক অধিকার। তবে এই আন্দোলনকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে অপশক্তি যেন দেশের স্বার্থবিরোধী কার্যকলাপ পরিচালনা করতে না পারে, সে ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। দেশে-বিদেশে লুকিয়ে থাকা স্বৈরাচারের দোসররা যেন যৌক্তিক আন্দোলনে নাশকতা চালাতে না পারে, সেজন্য সরকার ও জনগণকে সতর্ক থাকতে হবে।”