চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি ইউনিয়নের হাজী রাস্তার মোড়ে বুধবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম। সাইফুল ইসলাম আলিফের কবর জিয়ারত শেষে চট্টগ্রামে ফেরার পথে তাদের বহরকে একটি ট্রাক চাপা দেওয়ার চেষ্টা করে।
দুর্ঘটনায় হাসনাত ও সারজিস অক্ষত থাকলেও তাদের গাড়ি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ সময় বাইক নিয়ে তাদের রক্ষা করার চেষ্টাকারীদেরও চাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পরই ট্রাকের চালক ও সহকারীকে আটক করে পুলিশ। লোহাগাড়া থানায় এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।
আন্দোলনকারীদের বার্তা
ঘটনার পর হাসনাত আব্দুল্লাহ ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জানান, “মারবা? পারবা না। আমরা আবরার ও আলিফের উত্তরসূরী, মনে রেখো শহীদেরা মরে না।”
সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার প্রতিবাদ অব্যাহত
এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা মরহুম অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের দ্বিতীয় জানাজায় অংশ নেন এবং লোহাগাড়ার চুনতিতে তার কবর জিয়ারত করেন।
সাইফুল ইসলাম আলিফ ছিলেন লোহাগাড়া এলাকার বাসিন্দা এবং একজন সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি)। তার হত্যাকাণ্ডে চট্টগ্রাম আদালত বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন আইনজীবীরা।
আটক ও মামলা প্রক্রিয়া
আলিফ হত্যার ঘটনায় যৌথবাহিনী চট্টগ্রামে অভিযান চালিয়ে ৩০ জনকে আটক করেছে। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় দুটি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।