ঢাকা: বাংলাদেশের ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণদাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেফতারের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) নেতা এবং পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “গ্রেফতারের এ ঘটনায় আমি গভীরভাবে বিচলিত। এটি বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তার জন্য অশনিসংকেত।”
শুভেন্দু অধিকারী এদিন জানান, মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অবরোধ ও বিক্ষোভের আয়োজন করা হবে। একইসঙ্গে তিনি বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভের ঘোষণাও দেন।
তিনি আরও বলেন, “চিন্ময় কৃষ্ণদাস ব্রহ্মচারীর গ্রেফতার শুধু একজন ব্যক্তির নয়, বরং বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের অস্তিত্বের উপর আঘাত। আমরা তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানাই এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে মুক্তি না দিলে বৃহত্তর কর্মসূচির ডাক দেওয়া হবে।”
এদিকে, মায়াপুরের ইসকন কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে যে চিন্ময় কৃষ্ণদাস ব্রহ্মচারীকে দুই বছর আগে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়। এরপর থেকেই তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন কার্যক্রমে যুক্ত ছিলেন।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিশেষায়িত গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) তাকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ অক্টোবর চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে দায়ের হওয়া একটি মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণদাসসহ ১৯ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ আনা হয়। ইতোমধ্যেই মামলার আরও দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
চিন্ময় কৃষ্ণদাস ব্রহ্মচারী আন্তর্জাতিক শ্রীকৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘ (ইসকন)-এর প্রভাবশালী সংগঠক। তিনি সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলাদেশ ও ভারতের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে তিনি ‘চিন্ময় প্রভু’ নামে পরিচিত।