কুয়েতে রেকর্ডসংখ্যক ৯৩০ জন অভিবাসীর নাগরিকত্ব বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধে সংশ্লিষ্টতা ও জালিয়াতির মাধ্যমে নাগরিকত্ব প্রাপ্তির অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (১১ নভেম্বর) গালফ নিউজের প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
কুয়েতের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ফাহাদ আল ইউসেফ এদিন এক ব্রিফিংয়ে জানান, গত বৃহস্পতিবার নাগরিকত্ব বাতিলের প্রক্রিয়ার যাবতীয় নথি চূড়ান্ত করে মন্ত্রিসভায় পাঠানো হয়েছে। সভার পরবর্তী বৈঠকে এসব নথি পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পরই চূড়ান্ত স্বাক্ষরের মাধ্যমে তাদের নাগরিকত্ব বাতিল হবে।
এ বিষয়ে ফাহাদ আল ইউসেফ বলেন, যাদের নাগরিকত্ব বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, তারা চাইলে পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এ প্রক্রিয়া সহজ করতে নাগরিকত্ব সংক্রান্ত জেনারেল ডিরেক্টরেটের অধীনে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে সংশ্লিষ্টরা এই কমিটির মাধ্যমে আবেদন জমা দিতে পারবেন।
কুয়েত, যার আয়তন ১৭,৮১৮ বর্গকিলোমিটার, সেখানে বর্তমানে প্রায় ৪৯ লাখ মানুষ বাস করে। এর মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি অভিবাসী, যাদের মধ্যে অনেকেই নাগরিকত্ব পেয়েছেন। তবে অভিবাসী সংখ্যা বাড়তে থাকায় স্থানীয় আরব বংশোদ্ভূত নাগরিকরা ক্রমেই সংখ্যালঘু ও কোণঠাসা অবস্থায় পড়ছেন বলে মনে করছে কুয়েত সরকার। এ কারণে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে দেশটির সরকার।
কুয়েত ৯৩০ জন অভিবাসীর নাগরিকত্ব বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
নাগরিকত্ব জালিয়াতি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে।
আবেদনকারীরা পুনর্বিবেচনার জন্য নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আবেদন করতে পারবেন।
কুয়েতে অভিবাসন নীতিমালা কঠোর করার প্রবণতা চলমান রয়েছে, যা দেশটির স্থানীয় ও অভিবাসীদের ভবিষ্যৎ সম্পর্ককে প্রভাবিত করবে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।