ঢাকা, ৮ নভেম্বর: বিচার বিভাগের অভ্যন্তরে শৃঙ্খলা ও অনিয়মের অভিযোগে সম্প্রতি হাইকোর্ট বিভাগের ১২ জন বিচারপতিকে ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। গত ১৬ অক্টোবর, তাদের চায়ের দাওয়াতে আমন্ত্রণ জানিয়ে ছুটিতে পাঠানো হয়, যা দেশের বিচার বিভাগের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার প্রয়োজনীয়তার অংশ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে বিবেচিত হচ্ছে।
এই ঘটনায় সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলন করে আরও কিছু বিচারপতিকে ছুটিতে পাঠানোর দাবি তোলে। এর আগে ২০১৯ সালের আগস্টে, হাইকোর্টের দুই বিচারপতির বিরুদ্ধে রায় পাল্টানোর অভিযোগ উঠেছিল এবং আরও একজন বিচারপতির বিরুদ্ধেও অনিয়মের অভিযোগ ছিল। ফলে মোট সংখ্যা দাঁড়ায় ১৫ জনে।
সুপ্রিম কোর্টের সূত্রমতে, ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের পর, ইতোমধ্যে দুই দফায় সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের বৈঠক করেছেন প্রধান বিচারপতি। অনিয়ম ও দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী, এ কে এম জহুরুল হক ও কাজী রেজাউল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়েছে। রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পেলে এই তিন বিচারপতির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করবে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল।
তাছাড়া ছুটিতে পাঠানো ১২ বিচারপতির বিরুদ্ধে আসা অভিযোগ যাচাই-বাছাই চলছে। প্রাথমিকভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হলে সেটিও রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হবে। উল্লেখ্য, ষোড়শ সংশোধনীর কারণে এতদিন বিচারপতিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি নিষ্পত্তিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছিল না।