তরুণদের আহ্বান: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় পরিবেশ রক্ষায় যুক্ত হওয়ার প্রয়োজন
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বৃহস্পতিবার রাজধানীর পানিভবনে আয়োজিত একটি সেমিনারে বলেন, সরকার নতুন বাংলাদেশ গঠনে পরিবেশ রক্ষায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। “বন সংরক্ষণ, দূষণ নিয়ন্ত্রণসহ প্রয়োজনীয় সব ভালো উদ্যোগ শুরু করে রেখে যেতে চাই,”—বলে তিনি উল্লেখ করেন। পরিবেশ রক্ষায় যুবসমাজের ভূমিকা অপরিসীম বলেও তিনি উল্লেখ করেন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় তরুণদের যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানান।
উপদেষ্টা জানান, ঢাকার খালগুলো দখল ও দূষণমুক্ত করতে একটি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হচ্ছে, যা স্থানীয় সরকার, পানি সম্পদ, ভূমি, এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে প্রস্তুত করা হচ্ছে। একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ ইতোমধ্যে গঠন করা হয়েছে, যার নেতৃত্বে থাকছেন ঢাকা জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব)। এই গ্রুপের সদস্য হিসেবে পানি উন্নয়ন বোর্ড, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ, পরিবেশ অধিদপ্তর, নদী রক্ষা কমিশন এবং সিটি কর্পোরেশনের প্রতিনিধিরা রয়েছেন। এই ওয়ার্কিং গ্রুপ একটি কর্মশালা আয়োজন করবে এবং প্রাথমিক কর্মপরিকল্পনা তৈরি করবে। চূড়ান্ত কর্মপরিকল্পনা আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এই সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিআইপি সভাপতি অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান, আরডিআরসি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এজাজ, জাতীয় নাগরিক কমিটির আরিফুল ইসলাম আদিব এবং প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি ইফতেখার মাহমুদ। সরকারি কর্মকর্তা, পরিবেশবিদ এবং তরুণ পরিবেশকর্মীরা এ সেমিনারে অংশ নিয়ে পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন।
পরিবেশ রক্ষায় সাসটেইনেবিলিটি এলায়েন্সের প্রতিনিধিদের সাথেও মতবিনিময় করেন উপদেষ্টা। সাসটেইনেবল উদ্যোগ এবং পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন নিয়ে মতামত আদানপ্রদানের মাধ্যমে তারা আরও কার্যকর পদক্ষেপের দিকে এগিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেন।
পরিবেশ রক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় এমন কার্যক্রম বাংলাদেশকে টেকসই ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিশেষজ্ঞরা।