ভিকটিম: মোঃ বিল্লাল হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক, খিলক্ষেত থানা বিএনপি
স্থান: মস্তুল, ৪৩ নং ওয়ার্ড, খিলক্ষেত থানা
আক্রমণকারীর নাম: আরফোজ মিয়া ও মেহেদী হাসান নয়ন
গত ৩ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে খিলক্ষেত থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ বিল্লাল হোসেন আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হন। অভিযোগ রয়েছে, আরফোজ মিয়া ও তার ভাই মেহেদী হাসান নয়ন তাকে নিজ বাড়ির সামনে চাপাতি, দা, এবং বটির মতো ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করে গুরুতর আহত করে। স্থানীয়দের মতে, আরফোজ ও নয়ন দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের ছত্রছায়ায় খিলক্ষেত থানার মস্তুল, তলনা এবং ডুমনি এলাকায় সন্ত্রাস, জমি দখল, এবং চাঁদাবাজির মতো অবৈধ কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন।

ভিকটিমের উদ্যোগে সম্প্রতি মস্তুল এলাকায় সব ধরনের চাঁদাবাজি দূরীকরণের চেষ্টা করা হয়। এর অংশ হিসেবে বিল্লাল হোসেন তার বাড়ির সামনে রাস্তার ওপর অবৈধভাবে বসানো মাছ ও সবজি বাজার তুলে দেওয়ার উদ্যোগ নেন। স্থানীয়ভাবে জানা যায়, আরফোজ ও নয়ন দৈনিক ৪-৫ হাজার টাকা এই বাজার থেকে মাশোয়ারা আদায় করেন।






আরও জানা যায়, খসরু চৌধুরীর ছত্রছায়ায় আরফোজ ও নয়ন প্রায় ৫০ বিঘা জমি দখল করে মাছের ঘের পরিচালনা করছেন, যা এলাকাবাসীর কৃষি উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, আরফোজ এবং নয়নের বিরুদ্ধে স্থানীয় মাদ্রাসার প্রিন্সিপালকে মারধরের অভিযোগও রয়েছে। তারা বিএনপির বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ ছড়িয়ে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করছে বলে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ দাবি করেন।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ আক্তার হোসেন জানান, “আরফোজ ও নয়ন আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের অনুসারী এবং তাদের ছত্রছায়ায় প্রায় এক দশক ধরে খিলক্ষেত এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। সাধারণ মানুষ তাদের অন্যায়ের প্রতিবাদ করলেই শারীরিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছে, এমনকি হত্যার হুমকি পাচ্ছে।”

স্থানীয়রা জানায়, আরফোজ ও নয়নের অত্যাচারে বহু মানুষ অসহায়। ভুক্তভোগী এমরান হোসেন জানান, তার বাবা মতিন, যিনি এলাকার সাবেক মেম্বার ছিলেন, আরফোজ ও নয়নের হামলায় আহত হওয়ার কিছুদিন পর মারা যান। আরও এক ভুক্তভোগী মুরাদ জানান, “আমি নিরীহ মানুষ; তাদের বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় আমাকে মারধর করা হয়।”
আরফোজ ও নয়নের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছে। খিলক্ষেত থানায় এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে এবং মামলা রুজুর হয়েছে মামলা নং-৮ তারিখ-৫/১১/২০২৪
উল্লেখ্য, আক্রমণকারীরা জুলাই গন অভ্যুথানে ছাত্রদের বিপক্ষে ছিল এবং তারা ছাত্রদের আন্দোলন প্রতিহত করতে খিলক্ষেত এর ৩০০ ফিট এলাকায় স্বশরীরে উপস্থিত ছিল এবং ছাত্রদের আন্দোলনে যোগদানে বাধা দেন।