ইসরাইল-লেবানন সীমান্তে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। ইসরাইলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, শনিবার (২ নভেম্বর) সারা দিনজুড়ে লেবানন থেকে উত্তর ইসরাইলে ১৩০টিরও বেশি রকেট হামলা চালানো হয়েছে। এই হামলার ফলে উত্তর ইসরাইলের অনেক শহরে বারবার সাইরেন বাজে, যার ফলে বহু লোক নিরাপত্তা আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটে যায়।
সামরিক বাহিনীর মতে, রকেট হামলার পাশাপাশি শনিবার ইসরাইলে ১০টি ড্রোন আক্রমণের ঘটনাও ঘটেছে। এর মধ্যে ছয়টি ড্রোন লেবানন থেকে, তিনটি ইরাক থেকে এবং একটি অজ্ঞাত উত্স থেকে এসেছে বলে জানানো হয়েছে। ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, তারা সাতটি ড্রোন আটক করতে সক্ষম হয়েছে।
এর আগে শনিবার ভোরে মধ্য ইসরাইলের একটি বাড়িতে রকেট হামলা হয়, যা থামাতে কোনো সংস্থা সফল হয়নি। এই আক্রমণে ১১ জন আহত হয়েছেন। আইডিএফ জানিয়েছে, রকেটটি আটকাতে ব্যর্থ হওয়ার কারণ খুঁজে বের করতে তদন্ত চলছে।
অন্যদিকে, ইসরাইলের হাইফার দক্ষিণের বিনয়ামিনা এলাকায় হিজবুল্লাহর একটি ড্রোন বাধা দিতে সক্ষম হয়েছে ইসরাইলি বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার। সামাজিকমাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ড্রোনটিকে গুলি করার মুহূর্ত।
এ বছর ইসরাইলের অভ্যন্তরে বহিরাগত ড্রোন হামলা বাড়ছে, যা দেশটির জন্য নতুন নিরাপত্তা হুমকি হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে। ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরাইলে প্রায় ১,৩০০টি ড্রোন আক্রমণ হয়েছে, যা লেবানন, গাজা, ইরাক, সিরিয়া, ইয়েমেন এবং ইরান থেকে পরিচালিত হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। এই আক্রমণগুলোর মধ্যে ২৩১টি ড্রোন ইসরাইলে আঘাত হেনেছে, যার কিছু আঘাতজনিত হতাহতের ঘটনা ঘটিয়েছে এবং উন্মুক্ত এলাকায় বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।
ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে।