ঢাকা, ৩০ অক্টোবর: দেশের প্রতিটি নাগরিকের মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে আন্তরিক প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আগের সরকারের ভুল এবং অপরাধের পুনরাবৃত্তি হবে না বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। বুধবার জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্কের সাথে সাক্ষাৎকালে এ মন্তব্য করেন ড. ইউনূস।
ড. ইউনূস বলেন, “উন্নয়ন ও মানবাধিকার একসাথে এগিয়ে নেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” একইসাথে চলমান আন্দোলনের প্রতি সমর্থন এবং বাংলাদেশ সফরের জন্য ভলকার তুর্ককে ধন্যবাদ জানান তিনি।
রোহিঙ্গা সমস্যায় সমাধানে উদ্যোগ জোরদার
রোহিঙ্গা ইস্যুতে ড. ইউনূস জানান, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের জন্য নিরাপদ অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘের সহায়তা চাওয়া হয়েছে। এতে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা নিজ ভূমির কাছাকাছি থাকতে পারবে। রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই সমাধানে আসিয়ান ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার সক্রিয় ভূমিকার আহ্বানও জানান দুই নেতা।
মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্ত ও সংস্কার নিয়ে আলোচনা
ভলকার তুর্ক জানান, গণঅভ্যুত্থানকালে সংঘটিত নৃশংসতার ঘটনা তদন্তে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন কাজ করছে এবং ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে এর চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের আশা রয়েছে। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সংস্কার এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
গুমের ঘটনার তদন্ত ও মানবাধিকার কমিশনের স্বাধীনতা
গুমের ঘটনার তদন্তে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা সাহায্য করছে বলে জানান তুর্ক। তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার দফতর ঢাকায় তাদের কার্যক্রম আরও জোরদার করতে চায়। এ সময় তিনি বাংলাদেশের মানবাধিকার কমিশনকে আরও স্বাধীন ও কার্যকর করার জন্য প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানান।
এই আলোচনায় দুই পক্ষই বাংলাদেশে মানবাধিকার রক্ষায় দৃঢ় পদক্ষেপের প্রতি আস্থা প্রকাশ করেন।