পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলায় জামায়াতের তিন কর্মীর ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। শনিবার (১৯ অক্টোবর) উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের আমিরাবাদ বাজার ও নারায়ণপাশা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার প্রতিবাদে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা উপজেলা শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন মনিরুজ্জামান অজিবুল্লাহ (৩১), মোহাম্মদ আল-আমিন (২৭) এবং নাঈম আব্দুল্লাহ (৩৪)। তারা নিজেদের জামায়াতে ইসলামীর কর্মী বলে দাবি করেছেন। আহতদের বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ভুক্তভোগীরা জানান, সকালে নারায়ণপাশা গ্রামের আলতাফ হাওলাদার বাড়ি জামে মসজিদে একটি পরিচিতি সভা শেষে আমিরাবাদ বাজারে পৌঁছালে হামলার শিকার হন অজিবুল্লাহ ও আল-আমিন। তাদের দাবি, সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীরের ছেলে রাসেল ও উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মিরাজের নেতৃত্বে ৪০-৫০ জন ছাত্রদলের কর্মী তাদের ওপর হামলা চালায়। পরে নারায়ণপাশা গ্রামে গিয়ে একইভাবে নাঈম আব্দুল্লাহর ওপরও হামলা করা হয়।
অভিযুক্ত উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মুমিনুল ইসলাম মিরাজ জানান, হামলার ঘটনায় তাদের সংগঠনের কেউই জড়িত নয়। তার দাবি, আহত নাঈম আব্দুল্লাহ একজন আওয়ামী লীগের সমর্থক এবং উপজেলা ছাত্রলীগের সর্বশেষ কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এ কারণে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর দ্বারা হামলার শিকার হতে পারেন বলে ধারণা করেন তিনি।
বাউফল উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, “হামলাকারীদের আমরা কোনো দলের অংশ হিসেবে বিবেচনা করি না, তারা দুর্বৃত্ত। আমরা তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি, যাতে এ ধরনের ঘটনা পুনরাবৃত্তি না হয়।”
বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামাল হোসেন জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল ও হাসপাতাল পরিদর্শন করেছে এবং ভুক্তভোগীদের বক্তব্য শুনেছে। লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
হামলার প্রতিবাদে শনিবার বিকেলে বাউফল উপজেলা শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেন জামায়াতে ইসলামী নেতাকর্মীরা। মিছিল থেকে হামলার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়।