ঢাকা, ১৪ অক্টোবর: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র ও জনতার আন্দোলনের সময় সংঘটিত হত্যাকাণ্ড এবং আহতের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দায়ের করা ৪৭টি মামলায় বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব সালমান এফ রহমান, আনিসুল হক ও জুনায়েদ আহমেদ পলকসহ মোট ১৪ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এসব মামলার মধ্যে রয়েছে হত্যা, হত্যাচেষ্টা এবং সহিংসতার অভিযোগ।
সোমবার সকালে আসামিদের কারাগার থেকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা আদালতে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি আবেদনের শুনানি করেন। আদালতের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হুদা শুনানি শেষে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন এবং তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় ১৭টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর পাশাপাশি মিরপুর থানায় ৪টি এবং ধানমন্ডি ও বাড্ডা থানায় ১টি করে মামলা রয়েছে। মামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে হত্যাচেষ্টা, সহিংসতায় উস্কানি এবং সরকারি সম্পত্তি নষ্টের অভিযোগ।
সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে। মিরপুর, বাড্ডা ও ধানমন্ডি থানায় তার বিরুদ্ধে মোট ৩টি মামলা রয়েছে। অন্যদিকে, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকের বিরুদ্ধে মিরপুরে ৩টি, বাড্ডায় ২টি এবং ধানমন্ডি থানায় ১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে মিরপুরে ৭টি, মোহাম্মদপুরে ১টি, ধানমন্ডিতে ৩টি এবং বাড্ডায় ২টি মামলা রয়েছে। অন্যান্য আসামিদের বিরুদ্ধেও একই ধরনের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলাগুলোর তদন্তকারী কর্মকর্তারা আদালতে গ্রেফতার দেখানোর জন্য আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তাদের বিরুদ্ধে এসব মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করে এবং তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এসব মামলার তদন্তের প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে এবং পরবর্তী শুনানির তারিখ শিগগিরই নির্ধারণ করা হবে।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন শুরু হয় শিক্ষার্থীদের ন্যায়বিচারের দাবিতে। আন্দোলনকালে বেশ কয়েকটি সংঘর্ষে প্রাণহানি ও আহতের ঘটনা ঘটে। আন্দোলনের জেরে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা ও সহিংসতার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়।
আদালতের এই আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে আসামিরা দীর্ঘ সময় ধরে আইনি প্রক্রিয়ার মুখোমুখি হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।