মাঝপথে বাতিল হওয়া এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ২০২৪-এর ফলাফল আগামী ১৫ অক্টোবর প্রকাশিত হবে। এবার শিক্ষার্থীরা কিছু নতুন পদ্ধতিতে ফলাফল জানতে পারবেন, যা ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে। বেলা ১১টায় অনলাইনে এবং স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ফলাফল জানা যাবে। তবে এ বছর ফল প্রকাশের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন না অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, বরং শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানরাই এই কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন পদ্ধতিতে জানতে পারবেন। অনলাইনে ফলাফল জানার জন্য কয়েকটি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট ব্যবহৃত হবে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট (www.dhakaeducationboard.gov.bd) ছাড়াও www.educationboardresults.gov.bd এবং www.eduboardresults.gov.bd ওয়েবসাইটেও ফলাফল পাওয়া যাবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য EIIN (Educational Institute Identification Number) ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক রেজাল্ট শিট ডাউনলোডের সুবিধা রাখা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা তাদের রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে ফলাফল দেখতে পারবেন।
অনলাইনের পাশাপাশি এসএমএসের মাধ্যমেও ফলাফল জানার সুবিধা রয়েছে। এজন্য মোবাইল ফোন থেকে “HSC বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর, রোল নম্বর, এবং বছর” লিখে 16222 নম্বরে পাঠালে ফিরতি বার্তায় ফলাফল জানানো হবে। উদাহরণস্বরূপ, যদি কোনো শিক্ষার্থীর রোল নম্বর 123456 হয় এবং সে ঢাকা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষা দিয়ে থাকে, তবে তাকে টাইপ করতে হবে: “HSC DHA 123456 2024” এবং 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে।
এবারের এইচএসসি পরীক্ষা মাঝপথে বাতিল হওয়ায় এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার ভিত্তিতে ফলাফল নির্ধারণ করা হবে। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি তপন কুমার সরকার জানিয়েছেন, যেসব বিষয়ে পরীক্ষা হয়েছে, সেই বিষয়ে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা হবে। অন্যদিকে যেসব বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি, সেগুলোর ফলাফল প্রকাশ করা হবে পূর্ববর্তী এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের সঙ্গে বিষয় ম্যাপিং করে।
যেসব বিষয়ে এসএসসি ও এইচএসসি উভয় পর্যায়ে পরীক্ষা হয়েছে, সেই বিষয়ে শিক্ষার্থীর এসএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরকে সরাসরি এইচএসসি ফলাফলে বিবেচনা করা হবে। তবে যেসব বিষয়ে এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষায় ভিন্নতা আছে, সেক্ষেত্রে বিষয় ম্যাপিংয়ের জন্য একটি নির্দিষ্ট নীতিমালা অনুসরণ করা হবে। এর মাধ্যমে নম্বর গণনা করে ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
এই নতুন পদ্ধতিতে ফলাফল প্রকাশের উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের জন্য কিছুটা অস্বাভাবিক হলেও বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এটি প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত ছিল। মাঝপথে পরীক্ষা বাতিল হওয়ার কারণে ফলাফল প্রকাশ নিয়ে উদ্বেগ থাকলেও, বিষয় ম্যাপিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি যুক্তিসঙ্গত এবং ন্যায়সংগত পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে বলে শিক্ষা বোর্ড থেকে জানানো হয়েছে।
ফলাফল প্রকাশের পর শিক্ষার্থীদের দ্রুত ফলাফল জানতে এবং মেধার যথাযথ মূল্যায়ন নিশ্চিত করতে এই উদ্যোগগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।