ভারত নিজেকে একটি দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চায়, যা প্রয়োজনীয় মুহূর্তে অন্যান্য দেশগুলোকে আর্থিক সহায়তা দিতে সক্ষম। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে ভারত তার অর্থনৈতিক ও কৌশলগত প্রভাবকে আরও বিস্তৃত করতে চায়।
২০২২ সালে শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক সংকটের সময় ভারত ৪ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি সহায়তা প্রদান করেছিল। এ ছাড়া, প্রতিবেশী ভুটানের সঙ্গে চীনের সীমান্ত নিয়ে বিরোধ থাকলেও, মোদি সরকার ভুটানে তার সহায়তার পরিমাণ দ্বিগুণ করেছে। গত পাঁচ বছরে এই সহায়তার পরিমাণ বেড়ে ১ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
ভারতের আর্থিক কৌশলের সর্বশেষ সুবিধাভোগী দেশ হচ্ছে মালদ্বীপ। সম্প্রতি, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু, যিনি এর আগে ভারত-বিরোধী ‘ইন্ডিয়া আউট’ প্রচারণা চালিয়েছিলেন, দিল্লিতে একটি রাষ্ট্রীয় নৈশভোজে অংশগ্রহণ করেন। তার মূল উদ্দেশ্য ছিল চরম আর্থিক সংকট থেকে মুক্তি পেতে ভারত থেকে ৭৫০ মিলিয়ন ডলারের বেশি সহায়তা নিশ্চিত করা, এবং এতে তিনি অনেকটাই সফল হয়েছেন বলে জানা গেছে।
ভারত এই কৌশলের মাধ্যমে চীনের আক্রমণাত্মক প্রভাবকে প্রতিরোধ করতে চাইছে। গত এক বছরে অন্তত তিনটি দেশে ভারত-মিত্র নেতারা হয় ভোটে পরাজিত হয়েছেন অথবা বিক্ষোভের মুখে ক্ষমতা হারিয়েছেন। বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চীন ও অন্যান্য প্রতিবেশী দেশগুলো যখন মহামারীর আগে তাদের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের জন্য সংগ্রাম করছে, ভারতের অর্থনীতি তখন প্রায় ৭ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভারত এই অর্থনৈতিক সুযোগকে চীনের বিরুদ্ধে কৌশলগত প্রতিরোধ হিসেবে ব্যবহার করছে।