মাওলানা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, জানিয়েছেন যে সৌদি সরকার বাংলাদেশ থেকে জাহাজের মাধ্যমে হজযাত্রী পাঠানোর অনুমতি দিয়েছে। এ বছর পরীক্ষামূলকভাবে তিন হাজারের মতো হজযাত্রী জাহাজযোগে হজে যাওয়ার সুযোগ পাবেন, যা বিমানের তুলনায় অনেক কম খরচে হজ পালনের সুযোগ করে দেবে।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) রাতে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার জামিয়াতুস সুন্নাহ মাদরাসায় আয়োজিত সীরাতুন্নবী (সা.) মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখার সময় তিনি এ কথা বলেন। তিনি উল্লেখ করেন, স্বাধীনতার আগে ও পরে বাংলাদেশি হাজিরা জাহাজে করে হজে যেতেন। এবার নতুন করে এই ব্যবস্থার প্রচলনের জন্য সৌদি সরকারের একজন মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে এবং ইতোমধ্যে জাহাজ কোম্পানির মালিকদের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে।
মাওলানা খালিদ হোসেন বলেন, “এবার আমরা অন্তত তিন হাজার যাত্রী জাহাজে করে পাঠাবো। এতে খরচ অনেক কম হবে, এবং সাধারণ মানুষ সহজে হজ করতে পারবেন।”
তিনি আরও জানান, সৌদি সরকার হাজিদের সার্বিক সহযোগিতায় আন্তরিক। হাজিদের জন্য দুটি প্যাকেজ চালু করা হবে। একটি স্বল্প খরচে কাবা শরীফ ও মদিনা শরীফের এক কিলোমিটারের মধ্যে, এবং আরেকটি কিছুটা দূরে, যেখানে হাজিরা পায়ে হেঁটে যেতে পারবেন। এছাড়া বিমানের খরচ কমানোর জন্য বাংলাদেশ বিমান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
এদিকে, কওমী মাদরাসার সনদের কার্যকারিতা প্রসঙ্গে তিনি জানান, পূর্ববর্তী সরকার কওমী সনদকে এমএ (মাস্টার্স) মান দিয়েছে। এখন এই সনদ কোথায় কাজে লাগানো যেতে পারে তা নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা চলছে। আলেমদের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার সুযোগ তৈরির বিষয়েও আলোচনা করা হচ্ছে।
মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন আল্লামা মাহমুদুল হাসান, এবং আরও উপস্থিত ছিলেন বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক ও অন্যান্য বিশিষ্ট আলেমগণ।