ঢাকা: বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যৌথ বাহিনীর অভিযানে গত ২৬ দিনে ২৪৩টি অ*স্ত্র উদ্ধার এবং ১১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর এই বিশেষ অভিযান দেশব্যাপী অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড কমিয়ে আনার উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়।
অভিযানটির সমন্বয়ক জানান, গত এক মাসে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় এবং এসময় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মাদক, সন্ত্রাস ও অন্যান্য গুরুতর অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। অভিযানে অংশগ্রহণকারী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উল্লেখ করেছেন, উদ্ধারকৃত অস্ত্রগুলোর মধ্যে পিস্তল, শটগান, এবং দেশীয় তৈরী বিস্ফোরকও ছিল।
অপরাধ দমনে কঠোর পদক্ষেপ
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, দেশে সন্ত্রাস ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার এই ধরণের যৌথ অভিযান অব্যাহত রাখবে। তিনি আরও জানান, জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছে এবং এই ধরণের অভিযান আরও জোরদার করা হবে।
এদিকে, স্থানীয় সূত্র জানায়, এই অভিযানের ফলে সাধারণ মানুষের মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। তবে অভিযানের পরও কিছু এলাকায় অ*স্ত্রধারী অপরাধীদের কার্যক্রম চালু থাকার অভিযোগ রয়েছে। প্রশাসন জানিয়েছে, তারা এই অভিযোগগুলোও তদন্ত করছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
সন্ত্রাস নির্মূলে সরকারপ্রধানের বার্তা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি এক ভাষণে বলেছেন, “দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সন্ত্রাস ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আমাদের দৃঢ় অবস্থান থাকবে। আমরা কোন ধরণের অপরাধকে সহ্য করব না, এবং অপরাধীদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করব।”
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই অভিযানের ধারাবাহিকতা অপরাধ দমনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সফলতা ও শক্তিশালী পদক্ষেপের ফলে দেশে অপরাধের মাত্রা উল্লেখযোগ্য হারে কমে আসবে বলে তাদের বিশ্বাস।