সকলের কন্ঠের প্রতিবেদন ঢাকা, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪:
দুই মাসের মধ্যে ড. মোহাম্মদ ইউনুস দেশের জন্য সাড়ে ১৩ বিলিয়ন ডলারের আর্থিক সহায়তা আনতে সক্ষম হয়েছেন। দেশের অর্থনীতির সংকটকালীন মুহূর্তে এই পদক্ষেপকে বিশাল অর্জন হিসেবে দেখা হচ্ছে। ডলার সংকট এবং রিজার্ভের অবনতির সময়, এই আর্থিক সহায়তা দেশের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
ড. ইউনুস সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ), বিশ্বব্যাংক, এবং এশিয় উন্নয়ন ব্যাংকসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করেন। এসব বৈঠক থেকে তিনি বাংলাদেশের জন্য আর্থিক সহায়তা নিশ্চিত করেছেন। তার নেতৃত্বে দেশের রিজার্ভে বৃদ্ধি আসার পাশাপাশি ডলার সংকট মোকাবিলায় শক্তিশালী পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হবে।
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ড. ইউনুসের সাফল্য
জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দিয়ে ড. ইউনুস বিভিন্ন বিশ্ব নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গাসহ অন্য নেতারা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সমর্থন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এছাড়া ড. ইউনুস চীনের সঙ্গে সোলার প্ল্যান্ট স্থাপন এবং নেপালের জলবিদ্যুৎ আমদানি নিয়ে বিনিয়োগ চুক্তি করেছেন, যা দেশের জ্বালানি খাতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে।
আইএমএফের সহায়তা এবং ড. ইউনুসের নেতৃত্ব
পূর্ববর্তী সরকার আইএমএফ থেকে ঋণ নেওয়ার জন্য কঠোর শর্তের মুখোমুখি হলেও ড. ইউনুসের নেতৃত্বে এই প্রক্রিয়া সহজ হয়েছে। তার আন্তর্জাতিক খ্যাতি ও বিশ্বজুড়ে সম্মাননার কারণে বাংলাদেশ সহজেই এ ধরনের সহযোগিতা পাচ্ছে। আইএমএফের এই ঋণ পেলে বাংলাদেশের অর্থনীতি চাঙ্গা হবে এবং ডলার সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।
জ্বালানি খাতের উন্নয়নে চীনা বিনিয়োগ ও নেপালের জলবিদ্যুৎ আমদানি
ড. ইউনুস চীনের সঙ্গে সোলার প্লান্ট স্থাপনের বিনিয়োগ চুক্তি করেছেন, যা দেশের বিদ্যুৎ খাতের ওপর চাপ কমাবে। এছাড়াও, নেপালের সঙ্গে জলবিদ্যুৎ আমদানি নিয়ে আলোচনা চলছে, যা বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে সহায়ক হবে। এসব উদ্যোগ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বড় ধরণের পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সংকটমুক্তির পথে বাংলাদেশ
বিশেষজ্ঞদের মতে, ড. ইউনুসের নেতৃত্বে দেশে জরুরি অর্থনৈতিক সংস্কার ও উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ দ্রুতই অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে উঠবে। তার এই উদ্যোগ জাতীয় অর্থনীতিতে এক নতুন দিগন্তের সূচনা করবে।
—