ঢাকা, ২৯ সেপ্টেম্বর – বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানিয়েছেন, ডিসেম্বরের মধ্যে সচিবালয়কে ‘ওয়ানটাইম বা একবার ব্যবহৃত প্লাস্টিক’ মুক্ত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
আজ রোববার সকালে আগারগাওয়ের পরিবেশ অধিদফতরের এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান। উপদেষ্টা বলেন, পহেলা নভেম্বর থেকে পলিথিন উৎপাদন কারখানায় অভিযান শুরু হবে এবং ধীরে ধীরে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে। তিনি শিক্ষার্থীদের এই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে উদ্বুদ্ধ করার আহ্বানও জানান।
পলিথিন নিষিদ্ধকরণের উদ্দেশ্য ও কার্যক্রম
বাংলাদেশে পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার নিষিদ্ধ হলেও এর ব্যবহার এখনও বহুল প্রচলিত। পরিবেশের ওপর এর ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে, যা নিয়ে সরকারের দীর্ঘদিনের চিন্তাভাবনা চলছে। নতুন উদ্যোগের আওতায় সচিবালয়কে প্লাস্টিক মুক্ত করার লক্ষ্যে এই অভিযানের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
এছাড়া, অনুষ্ঠানে উপস্থিত দোকান-মালিক সমিতির প্রতিনিধিরা মন্ত্রণালয়ের উদ্দেশ্যে অনুরোধ করেন, এই সিদ্ধান্ত কেউ না মানলে শুরুতেই যেনো কঠিন পদক্ষেপ না নেয়া হয়। তারা ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়কে মোটিভেট করার গুরুত্বের কথা বলেন।
শিক্ষার্থীদের ভূমিকা
শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করার বিষয়টি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “শিক্ষার্থীরা যদি এই উদ্যোগে অংশগ্রহণ করে, তবে তারা তাদের পরিবার ও বন্ধুদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করতে পারে।” এভাবে নতুন প্রজন্মের মধ্যে পরিবেশ সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি তারা সমাজে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করতে পারবে।
বিকল্প পণ্যের প্রদর্শনী
এছাড়া, অনুষ্ঠানে উল্লেখ করা হয় যে, নিষিদ্ধ পলিথিন শপিং ব্যাগের বিকল্প পণ্যের মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে পরিবেশ অধিদফতরে। মেলার সময়সীমা দুপুর ৫টা পর্যন্ত এবং এটি ক্রেতাদের জন্য বিকল্প পণ্যগুলো পরিচিত করার একটি উদ্যোগ।
সরকারী উদ্যোগের গুরুত্ব
প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানোর জন্য সরকারের এই উদ্যোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শুধুমাত্র আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা নয়, বরং জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করাও একান্ত প্রয়োজন। তাই, এই উদ্যোগ সফল করার জন্য বিভিন্ন স্তরের জনগণের সহযোগিতা কামনা করা হচ্ছে।
—