বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ কর্মসূচী চলাকালে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় দায়িত্ব পালনকালে দুই সাংবাদিকের ওপর আওয়ামী লীগের লোকজন হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় দৈনিক ইনকিলাবের উপজেলা সংবাদদাতা মো. আতাউর রহমানকে কুপিয়ে জখম ও প্রতিদিনের সংবাদের প্রতিনিধি রুহুল আমীন রিপনকে পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পৌর বাজারে অবস্থিত বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে গিয়ে একটি মোটর সাইকেল ও অফিস ভাঙচুর করে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, আজ রবিবার দুপুরের পর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ব্যানারে শিক্ষার্থীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে পৌরশহর প্রদক্ষিণ করেন। এ ঘটনার পর স্থানীয় আওয়ামী লীগের লোকজন লাঠিসোটা ও রামদা হাতে নিয়ে আরেকটি মিছিল বের করেন। এ সময় স্থানীয় সাংবাদিকরা দায়িত্ব পালনকালে হঠাৎ আওয়ামী লীগের মিছিল থেকে দুই সাংবাদিকের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে ইনকিলাবের সংবাদদাতা ও ঈশ্বরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক দুইবারের সাধারণ সম্পাদক মো. আতাউর রহমানকে রামদা দিয়ে কোপ দেওয়া হয়। মাটিতে লুটিয়ে পড়লে সেখানেও তাকে বেদম পেটানো হয়।
এ ঘটনা প্রতিহতের চেষ্টাকালে প্রতিদিনের সংবাদের প্রতিনিধি রুহুল আমীন রিপনকেও পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে ঈশ্বরগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আহত সাংবাদিক আতাউর জানান, সকাল থেকেই তিনি শহরে অবস্থান করছিলেন। বৈষম্যবিরোধী ব্যানারের শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে চলে গেলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি মিছিল বের হয়। এ সময় তিনি আওয়ামী লীগের মিছিলের পেছনে ছিলেন। এক পর্যায়ে মিছিলটি পৌরসভার মুক্তিযোদ্ধা মোড়ে আসতেই বেশ কয়েকজন ‘ধর ধর’ বলে তার ওপর হামলা চালায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই রামদা হাতে একজন পেছন দিক দিয়ে কোপ দেয়। পরে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মাথায় চারটি সেলাই দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মুহাম্মদ মাজেদুর রহমান জানান, এ বিষয়ে তিনি অবগত নন, এই প্রথম শুনলেন।