বাংলাদেশ শিগগিরই নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির জন্য নেপাল ও ভারতের সঙ্গে একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষর করতে যাচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নেপাল আগামী ৩ অক্টোবর চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তবে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ও ভারত চুক্তির নির্দিষ্ট দিন-তারিখ নিশ্চিত করেনি বলে জানিয়েছেন নেপালের বিদ্যুৎ, পানিসম্পদ এবং সেচ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র চিরঞ্জীব চাতাউত।
তিনি নেপালের সংবাদমাধ্যম মাই রিপালিকা-কে বলেন, “যদি ভারত ও বাংলাদেশ প্রস্তাবিত তারিখের অন্তত দুদিন আগে ইতিবাচক সাড়া দেয়, তাহলে আগামী ৩ অক্টোবর চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হতে পারে।”
সব পক্ষ সম্মত হলে কাঠমান্ডুতে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে চুক্তি স্বাক্ষর করা হবে বলে উল্লেখ করেন নেপালের এই কর্মকর্তা। এছাড়া, নেপাল আগামী ১ অক্টোবর বাংলাদেশকে একটি যৌথ ওয়ার্কিং দলের বৈঠকের প্রস্তাব দিয়েছে। এরপর দুই দেশের মধ্যে যৌথ স্টিয়ারিং দলের বৈঠক হবে।
নেপাল-ভারত-বাংলাদেশের এই বিদ্যুৎ চুক্তির প্রক্রিয়া অনেক আগেই চূড়ান্ত হয়েছিল। ২৮ জুলাই চুক্তি স্বাক্ষরের পরিকল্পনা থাকলেও, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনের কারণে তা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্থিতিশীল হওয়ায়, নেপাল আবারও আলোচনায় আসে এবং অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে সবুজ সংকেত পেয়ে অক্টোবরে চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তাব দিয়েছে।
এই চুক্তির মাধ্যমে আগামী পাঁচ বছরের জন্য বাংলাদেশে ৪০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ সরবরাহ করবে নেপাল। বিদ্যুৎটি ভারতীয় সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে বাংলাদেশে আসবে, যার খরচসহ প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ ৮.১৭ রুপিতে কিনবে বাংলাদেশ।