খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটি: সাম্প্রতিক সংঘর্ষ ও প্রাণহানির পর খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটির থমথমে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হলেও তিন পার্বত্য জেলায় চলছে ৭২ ঘণ্টার অবরোধ। রাঙামাটিতে পালিত হচ্ছে পরিবহন ধর্মঘটও। পাহাড়ি বিভিন্ন সংগঠন ও বাস মালিক-শ্রমিকদের ডাকে এই অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট ও ৭২ ঘণ্টার অবরোধের কারণে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় অনেক পর্যটক আটকা পড়েছেন।
জানা গেছে, বিচ্ছিন্নভাবে কিছু গুজব ছড়ানো হচ্ছে, যার কারণে আতঙ্কে অনেক দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। সড়কগুলোতে যানবাহন চলাচল বন্ধ। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেনা টহল বাড়ানো হয়েছে এবং নিরাপত্তা বাহিনীর নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে সবপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। বৈঠক শেষে তিনি জানান, সংঘাতের ঘটনাটি তদন্তের জন্য উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হবে। স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা এএফ হাসান আরিফ এ সংঘাতের পেছনে বিদেশি ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দিয়েছেন।
অবরোধ ও ধর্মঘটের ফলে সাজেকের পর্যটন এলাকায় আটকা পড়েছেন ৮০০-এরও বেশি পর্যটক, যা জনদুর্ভোগ আরও বাড়িয়েছে।
প্রসঙ্গত, খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় চোর সন্দেহে এক বাঙালি যুবককে গণপিটুনিতে হত্যা করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া সংঘাতে এখন পর্যন্ত চারজন নিহত হয়েছেন। উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। এর পাশাপাশি বেশ কিছু গাড়ি ভাঙচুর এবং দোকানপাটে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে, যা পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করেছে।