বৈরুত, ১৯ সেপ্টেম্বর (বিবিসি): লেবাননের রাজধানী বৈরুতসহ বেকা উপত্যকা এবং দেশের দক্ষিণাঞ্চলে তারবিহীন যোগাযোগের যন্ত্র ‘পেজার’ বিস্ফোরণে ২০ জন নিহত ও ৪৫০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়া সংগঠন হিজবুল্লাহ এই ধরনের বিস্ফোরণের জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করলেও ইসরায়েল এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিস্ফোরণটি ঘটে যখন হিজবুল্লাহ সদস্যরা তাদের ব্যবহৃত ওয়াকিটকিগুলো নিয়ে চলাচল করছিল। এর আগের দিন মঙ্গলবার, প্রথম দফায় বিস্ফোরণে ১২ জন নিহত হওয়ার পর তাদের জানাজায় অংশ নেওয়ার সময় দ্বিতীয় দফায় নতুন করে পেজার বিস্ফোরণ ঘটে। এ ঘটনায় ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটে।
ইসরায়েল ও লেবাননের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকায় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গালান্ত দেশটির উত্তরে আরও এক ডিভিশন সৈন্য মোতায়েন করার পর নতুন ধাপের যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছেন। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পেজার বিস্ফোরণের এই ঘটনা ঘটে।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এই ঘটনার পর লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে যুদ্ধের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে সবাইকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন। গুতেরেস বলেন, ‘এই বিস্ফোরণগুলো বড় ধরনের সামরিক অভিযানের আগাম ইঙ্গিত হতে পারে।’
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বুধবারের বিস্ফোরণের পর উত্তরাঞ্চল থেকে ১০ হাজারেরও বেশি বাস্তুচ্যুত লোকদের নিরাপদে বাড়িতে ফেরানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। অন্যদিকে, প্রতিরক্ষামন্ত্রী গালান্ত জানিয়েছেন, ইসরায়েল একটি নতুন কৌশল নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে এবং গাজা থেকে সেনা ডিভিশন উত্তরে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
হিজবুল্লাহও হামাসের প্রতি তাদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে জানায়, সীমান্ত সংঘাত তখনই থামবে যখন গাজায় চলমান যুদ্ধ শেষ হবে। সংগঠনটির নেতা হাসান নসরুল্লাহ অচিরেই পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে বক্তব্য দেবেন বলে জানা গেছে।