সরকার বলপূর্বক গুমের শিকার ব্যক্তিদের সন্ধান এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তদন্ত পরিচালনার জন্য পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিশন গঠন করেছে। রোববার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়, যেখানে কমিশনকে ব্যাপক ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। কমিশনকে ৯০ দিনের মধ্যে সরকারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা সরকারের মদদে গুমের শিকার ব্যক্তিদের সন্ধান করতে কমিশনকে যে কোনো স্থানে পরিদর্শন ও ব্যক্তিদের তলব ও জিজ্ঞাসাবাদের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময়কালের মধ্যে জোরপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তিদের নিয়ে কমিশন এই তদন্ত করবে।
কমিশনের কার্যপরিধি
কমিশনের কার্যপরিধির মধ্যে রয়েছে:
গুম হওয়া ব্যক্তিদের শনাক্ত করা ও কোন পরিস্থিতিতে গুমের ঘটনা ঘটেছে তা নির্ধারণ করা।
গুমের ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা।
গুমের শিকার ব্যক্তিদের সন্ধান পাওয়া গেলে তাদের আত্মীয়-স্বজনকে অবহিত করা।
গুম প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় আইন সংস্কারের সুপারিশ প্রদান করা।
তদন্ত কমিশনের সদস্যরা
বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের এই কমিশনে আরও রয়েছেন হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী, মানবাধিকার কর্মী নূর খান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নাবিলা ইদ্রিস এবং মানবাধিকার কর্মী সাজ্জাদ হোসেন।