বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যে দেশের মানুষ আতঙ্কিত। তিনি দাবি করেন, শেখ হাসিনা বলেছেন যে তিনি সীমান্তের কাছাকাছি আছেন, আর এতে দেশের মানুষ মনে করছে জল্লাদ কাছাকাছি এসেছে ফাঁসির দড়ি নিয়ে।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বগুড়ার চকআকাশ তারা এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতার আন্দোলনে নিহতদের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করতে গিয়ে এসব কথা বলেন রিজভী।
রিজভী আরও অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের ছাত্রলীগ ও যুবলীগের হাতে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র রয়েছে। তিনি দাবি করেন, “সরকার এক হাজারের ওপর অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করলেও সেগুলো এখনও উদ্ধার করা যায়নি।” তার দাবি, ছাত্রলীগ-যুবলীগ গোপনে এই অস্ত্রগুলি দেশের মানুষের ওপর ব্যবহার করার জন্য ঘাপটি মেরে আছে।
তিনি আরও বলেন, “ষড়যন্ত্র থেমে নেই। শেখ হাসিনা ও তার প্রভুরা এখনো চক্রান্ত করে চলেছে।” তিনি জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “ফ্যাসিস্টদের ষড়যন্ত্র রুখতে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।”
রিজভী সরকারের বিচারব্যবস্থার সমালোচনা করে বলেন, গত ১৫ বছরে বিচারকরা শেখ হাসিনার ইচ্ছায় বিচার করেছেন। তিনি মিডিয়া মালিকদেরও অভিযুক্ত করেন শেখ হাসিনার ‘চামচামি’ করার জন্য। তিনি শেখ হাসিনাকে জার্মান নেতা এডলফ হিটলারের সঙ্গে তুলনা করে বলেন, “শেখ হাসিনা গ্যাসচেম্বারের মতো আয়নাঘর তৈরি করেছিলেন অমানবিক নিপীড়নের জন্য।”
অনুষ্ঠানে রিজভী বগুড়ায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত রিকশাচালক কমর উদ্দিন, ছাত্র শাকিল হাসান মানিক, এবং বিএনপি নেতা জিল্লুর রহমানের পরিবারের হাতে আর্থিক সহায়তাও তুলে দেন।