চীন থেকে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে আমদানি করা ৫০০ মিটারগেজ মালবাহী ওয়াগনের মধ্যে প্রায় ৪৪০টি চট্টগ্রামের গুডস পোর্ট ইয়ার্ডে অলস পড়ে আছে। এক বছরের বেশি সময় ধরে এই ওয়াগনগুলো ব্যবহারের অভাবে খোলা আকাশের নিচে নষ্ট হচ্ছে। ইতোমধ্যে চুরি হয়েছে বেশ কিছু মূল্যবান ব্যাটারিও। এসব ওয়াগনের ক্রয় ও ব্যবহারের যৌক্তিকতা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
সম্প্রতি ৬০টি ওয়াগন দিয়ে সরকারি গুদামে গম পরিবহন শুরু হলেও বাকিগুলোর কোনো কার্যকর ব্যবহার নেই। প্রতিটি ট্রেন ৩০টি ওয়াগন নিয়ে চলে এবং এক ট্রেনে আয় হয় প্রায় সাত লাখ টাকা। অথচ ৩৮৬টি খাদ্য শস্যবাহী ওয়াগন দিয়ে দৈনিক ১০টি ট্রেন চালালে বছরে প্রায় ২৫৫ কোটি টাকার বাড়তি আয় হতো রেলের।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, সরকারি খাদ্য বিভাগের চাহিদা না থাকায় ওয়াগনগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে না। তার মতে, চাহিদা আসলে তৎক্ষণাৎ পরিবহন করা হবে, তবে খাদ্য বিভাগের চাহিদা না থাকায় ওয়াগনগুলো অলস পড়ে রয়েছে।
তবে এই পরিস্থিতিতে রেলের ওয়াগন কেনার যৌক্তিকতা নিয়ে বিশ্লেষকরা সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। ওয়াগনগুলোর ধারণক্ষমতা ৪৬ মেট্রিকটন বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে তা ৩১ মেট্রিকটন পণ্য পরিবহন করতে সক্ষম। এ ছাড়াও পাথর পরিবহন দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকা সত্ত্বেও ১৭৪টি খোলা ওয়াগন কেনা হয়েছে, যা এখন ইয়ার্ডে পড়ে আছে এবং কোনো আয় করছে না।
চট্টগ্রামের সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি আকতার কবির চৌধুরী বলেছেন, রেল খাতটি সম্ভাবনাময় হলেও দুর্নীতি ও অদক্ষতার কারণে এটি লাভজনক হয়ে উঠতে পারছে না।
২০২২-২৩ অর্থবছরে রেলওয়ের পণ্য পরিবহন থেকে আয় হয়েছে ১৫৩ কোটি টাকা, যা চলতি অর্থবছরে কমে দাঁড়িয়েছে ১৫০ কোটি ৪৮ লাখ টাকায়।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: নাজিম মিয়া
হাদী মিডিয়া, খিলক্ষেত, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত।
ই-মেইল: info@sokolerkantho.com