ঢাকা, ১৪ সেপ্টেম্বর — বাঙালি মুসলিমের ঐতিহ্যবাহী ‘চল্লিশা’ সাধারণত মৃত ব্যক্তির জন্য শোক পালনের উদ্দেশ্যে করা হয়। তবে এবারের ব্যতিক্রমী আয়োজন ছিল মিরপুরবাসীর। রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বর এলাকায় শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত হয় ‘স্বৈরাচারের চল্লিশা’, যা কোনো মৃত ব্যক্তির জন্য নয়, বরং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের চল্লিশ দিন পূর্ণ হওয়ায় এ অনুষ্ঠান উদযাপন করা হয়।
মিরপুর ১০ নম্বরের আজমল হাসপাতালের গলিতে এ আয়োজনটি করেন এলাকাবাসী। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে যাওয়ার পর মিরপুরবাসী তাদের আন্দোলন ও সংগ্রামের সফলতার স্মারক হিসেবে এ ব্যতিক্রমী চল্লিশা আয়োজন করে।
চল্লিশা উপলক্ষে গরু জবাই করে বিরিয়ানির আয়োজন করা হয় এবং এলাকাবাসী, শ্রমিক, দিনমজুর, শিক্ষার্থীসহ সকলের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়। এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী আজমেরি হক বাঁধন এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পরিচিত মুখ মো. নাহী, মাসুদুর রহমান, ফারদিন হাসানসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সাধারণ জনগণ।
আয়োজক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, “আন্দোলনের সময় এই এলাকা অভেদ্য দুর্গে পরিণত হয়েছিল এবং আন্দোলনকারীদের জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল ছিল। তাই স্বৈরাচার পতনের চল্লিশ তম দিনে বাঙালি মুসলিম ঐতিহ্য অনুযায়ী আমরা এ আয়োজন করেছি, যা এলাকাবাসীর অবদানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের প্রয়াস।”
মিরপুর ১০ নম্বর দীর্ঘদিন ধরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শক্তিশালী কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। পুলিশের গুলিতে শতাধিক ছাত্র-জনতা ও সাধারণ মানুষ নিহত হওয়ার ঘটনাও এই এলাকায় সংঘটিত হয়েছে।