বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতির দায়িত্বে টানা ১৬ বছর থাকা কাজী সালাউদ্দিন ঘোষণা দিয়েছেন, আসন্ন ২৬ অক্টোবরের বাফুফে নির্বাচনে তিনি আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না। শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বাফুফে ভবনে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে দেশের ফুটবলের এই প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানান।
২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো বাফুফে সভাপতির পদে নির্বাচিত হন কাজী সালাউদ্দিন। এরপর একের পর এক চারটি মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। দীর্ঘ এই পথচলাকে ভাগ্যবান হিসেবে বিবেচনা করে সালাউদ্দিন বলেন, “আমি চার মেয়াদে দায়িত্বে ছিলাম, এটি আমার জন্য বিশাল সুযোগ এবং সম্মান। তবে আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটি আমার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।”
কাজী সালাউদ্দিনের নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্তের পেছনে পারিবারিক চাপের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তার ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা যায়, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পারিবারিক চাপে তিনি এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে তিনি বাফুফে কার্যালয়ে অনুপস্থিত ছিলেন এবং শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) হঠাৎ করেই সেখানে এসে তার নির্বাচনে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।
এর আগেও কাজী সালাউদ্দিন কয়েকবার নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রতিবারই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। দীর্ঘদিন ধরে দেশের ফুটবলের নেতৃত্বে থাকা সালাউদ্দিনের পদত্যাগের দাবি ফুটবল অঙ্গন থেকে বেশ কয়েকবার উঠলেও তিনি তা পাত্তা দেননি। তবে এবার সত্যিই তার নেতৃত্বের অধ্যায় শেষ হতে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।
বাংলাদেশের ফুটবল অঙ্গনে কাজী সালাউদ্দিনের ১৬ বছরের দীর্ঘ নেতৃত্বের পর এবার পরিবর্তনের অপেক্ষায় রয়েছে দেশের ফুটবল ভক্তরা। আসন্ন নির্বাচনে কে হবেন বাফুফের নতুন সভাপতি, তা নিয়েই এখন চলছে নানা জল্পনা।
