জ্বালানি খাতের চারটি মেগা প্রকল্প বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাতিলের তালিকায় রয়েছে কক্সবাজারের মহেশখালীতে সামিট পাওয়ারের তৃতীয় এলএনজি টার্মিনাল (এফএসআরইউ), এস আলম গ্রুপের ইস্টার্ন রিফাইনারির ‘ইনস্টলেশন অব ইআরএল ইউনিট-২’, ভোলায় রাশিয়ান কোম্পানি গ্যাজপ্রমের পাঁচটি কূপ খনন প্রকল্প এবং ভোলার গ্যাস সিএনজি আকারে আনার পরিকল্পনা। এসব প্রকল্প বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জ্বালানি খাতের বিশেষ আইন পুনর্মূল্যায়ন করে।
সামিট পাওয়ারের তৃতীয় এফএসআরইউ প্রকল্প
২০১০ সালের বিশেষ আইনের আওতায়, কোনো প্রতিযোগিতা ছাড়াই সামিট গ্রুপকে মহেশখালীতে তৃতীয় ভাসমান এলএনজি টার্মিনালের প্রকল্প দেওয়া হয়েছিল। সামিটের প্রস্তাবের ওপর ভিত্তি করে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে এই চুক্তি অনুমোদিত হয়েছিল, যার আওতায় সামিট প্রতিদিন ৩ লাখ ডলার রিগ্যাসিফিকেশন চার্জ পেত। তবে বর্তমান সরকার এই ধরনের প্রকল্পগুলো পুনর্মূল্যায়নের জন্য একটি জাতীয় কমিটি গঠন করেছে। ফাওজুল কবির খান, জ্বালানি উপদেষ্টা, জানিয়েছেন যে এখন থেকে সব কাজ উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে হবে এবং স্থলভাগে এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
গ্যাজপ্রমের পাঁচটি কূপ খনন প্রকল্প
রাশিয়ান কোম্পানি গ্যাজপ্রমকে দিয়ে ভোলায় পাঁচটি কূপ খননের কাজ দেওয়া হলেও জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহের জন্য সঞ্চালন লাইন নির্মাণ এখনো শেষ হয়নি। বাপেক্সের কর্মকর্তাদের মতে, গ্যাজপ্রমের মাধ্যমে কূপ খননে খরচ অনেক বেশি হওয়ায় এই প্রকল্প পুনর্মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, যদি প্রকল্প বাতিল হয়, তবে আন্তর্জাতিক টেন্ডারের মাধ্যমে কূপগুলো খনন করা হবে, যাতে গ্যাস সংকট মোকাবিলায় দ্রুত কাজ করা যায়।
উন্মুক্ত প্রতিযোগিতায় নতুন সিদ্ধান্ত
জ্বালানি বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সব চুক্তি পুনর্মূল্যায়ন করা হবে এবং এখন থেকে প্রকল্পগুলো উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে প্রদান করা হবে।