খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদপ্তর আগামী বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ঢাকা মহানগরীতে ওএমএস খাতে সব ধরনের খোলা আটা বিক্রি বন্ধ করবে। এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মহানগরীতে ওএমএস খাতে সব আটা ২ কেজি প্যাকেটের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে ।
গত (১১ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত একটি সভায় খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদপ্তরের সচিব, মহাপরিচালক, পরিচালক এবং অন্যান্য উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় ফ্লাওয়ার মিলস ওনার্স এসোসিয়েশনের সম্মানিত সভাপতি, সেক্রেটারি এবং মহানগরীর ওএমএস খাতে আটা বিক্রির সঙ্গে যুক্ত মিলারগণও উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও, হাদী ফ্লাওয়ার মিলের মালিক মোহাম্মদ রাশেদ হাদী এবং অন্যান্য ২২টি ফ্লাওয়ার মিলের মালিকগণও সভায় অংশগ্রহণ করেন।
সভায় আলোচনা হয় যে, খোলা আটা বিক্রির পরিবর্তে ২ কেজি প্যাকেট আটা বিক্রি শুরু করলে স্বাস্থ্যগত দিক থেকে জনগণের উপকার হবে এবং আটার গুণগত মান বজায় থাকবে। খোলা আটা ব্যবহারের ফলে খাদ্যদ্রব্যের স্বাস্থ্যের ঝুঁকি থাকে এবং এই নতুন পদ্ধতি জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
ফ্লাওয়ার মিলস ওনার্স এসোসিয়েশনের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন। সভায় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসমাইল হোসেন এনডিসি, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ আব্দুল খালেক, সরবরাহ, বণ্টন ও বিপণন বিভাগের পরিচালক আব্দুস সালাম, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক ঢাকা,প্রধান নিয়ন্ত্রক, ঢাকা রেশনিং ঢাকা ,প্রধান মিলারসহ অন্যান্য উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, এই নতুন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষদের সঙ্গে আলোচনা করে সব ব্যবস্হা করা হচ্ছে ।তারা আশা প্রকাশ করেছেন যে, এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে আটা বিক্রির ক্ষেত্রে নতুন একটি সংস্কৃতি তৈরি হবে এবং জনগণের জন্য একটি স্বচ্ছ ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত হবে।
মিলারগণের পক্ষ থেকে উল্লেখ করা হয় যে, ২ কেজি প্যাকেট আটা বিক্রি শুরু হলে তাদের ব্যবসার ধরন ও প্রক্রিয়ায় কিছু পরিবর্তন আসবে, তবে এতে স্বাস্থ্যগত সুবিধা এবং আটার গুণগত মানের উন্নয়ন হবে। মিলারগণ খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদপ্তরের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, এটি দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
নতুন সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন পর্বে খাদ্য অধিদপ্তর ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সঠিকভাবে মনিটরিং করবে এবং প্যাকেটজাত আটার মান নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে, আটার উৎপাদন, প্যাকেজিং এবং বিতরণের মান নিশ্চিত করার জন্য নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও যাচাই-বাছাই করা হবে।
২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ঢাকার মহানগরীতে ওএমএস খাতে সব ধরনের খোলা আটা বিক্রি বন্ধ থাকবে এবং শুধু ২ কেজি প্যাকেট আটা বিক্রি করা হবে। এই নতুন নীতিমালার আওতায় খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদপ্তর প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও সেবাদাতাদের প্রস্তুত থাকতে বলেছেন।
এই নতুন পদক্ষেপ জনগণের জন্য একটি নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্য পরিবেশ নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে