আজ বুধবার বিকেল দুইটার পর বাংলাদেশে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, ইউটিউব এবং টিকটক পুনরায় চালু হয়েছে। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর আগে, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের পর ১৭ জুলাই থেকে মোবাইল ইন্টারনেট এবং ১৮ জুলাই থেকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। পাঁচ দিন পর ব্রডব্যান্ড সংযোগ সীমিত পরিসরে চালু হলেও ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম এবং টিকটক বন্ধ ছিল। আজকের বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী জানান, ফেসবুক, ইউটিউব এবং টিকটকের প্রতিনিধিরা বৈঠকে অংশ নেন এবং ভবিষ্যতে গুজব ছড়ানোর বিরুদ্ধে আরও সতর্কভাবে কাজ করার আশ্বাস দেন।
প্রতিমন্ত্রী অভিযোগ করেন, ফেসবুক এবং অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমগুলোর দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের কারণে সাম্প্রতিক সংঘর্ষের সময় প্রাণহানি ও ক্ষতি বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেন, ফেসবুকের বাংলা ভাষার ফ্যাক্ট চেকাররা নিরপেক্ষ নয় এবং তাদের কার্যকলাপ সরকারবিরোধী। তাছাড়া, সরকারবিরোধী কনটেন্ট সরানোর অনুরোধে ফেসবুক ও ইউটিউব পর্যাপ্ত সাড়া দেয়নি। টিকটক, তবে, বেশিরভাগ কনটেন্ট সরিয়ে সরকারের অনুরোধে সাড়া দিয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক বি এম মইনুল হোসেন বলেন, ফেসবুক আন্তর্জাতিক নীতিমালা মেনে চলে এবং কোনো নির্দিষ্ট দেশের জন্য কাজ করে না। ইন্টারনেট ও ফেসবুক বন্ধ থাকায় দেশের আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি মর্যাদাও ক্ষুণ্ন হয়েছে।